×

  • নিউজ ডেস্ক

    প্রকাশিত : তারিখ - ২০২৪-১২-১২, সময় - ১১:১২:১৪

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে শ্রমবাজারের ইতিবাচক সূচক দেখাতে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ওপর রাজনৈতিক চাপ ছিল। ফলে তখন বেকারত্বের নিম্নমুখী হার এবং উন্নত শ্রমবাজারের যে চিত্র তুলে ধরা হয়েছিল তা ছিল চার দশকেরও বেশি পুরোনো। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড উপেক্ষা করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ১৯৮২ সালের ১৩তম আইসিএলএস (ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অব লেবার স্টাটিসটিসিয়ানস) ব্যবহার করেছে। অথচ ২০১৩ সালে এটি ১৯তম হালনাগাদ হয়েছে।

প্রতি পাঁচ বছর অন্তর আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) আইসিএলএস আয়োজন করে, যেখানে সারা বিশ্বের জন্য মানদণ্ড নির্ধারণ করা হয়। লেবার ফোর্স সার্ভে ২০২২ এর চূড়ান্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৩তম ইসিএলএসের ভিত্তিতে বাংলাদেশে বেকারত্বের হার তিন দশমিক পাঁচ শতাংশ বা ২ কোটি ৫৮ লাখ।

১৯তম আইসিএলএস সংজ্ঞা ব্যবহার করলে বেকারত্বের হার বেড়ে পাঁচ দশমিক নয় শতাংশে দাঁড়াবে। এ ছাড়া, যুব বেকারত্বের হার আট শতাংশ থেকে বেড়ে হবে ১৭ দশমিক সাত শতাংশ।

পরিসংখ্যান ব্যুরো যুব ও কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর যে বয়সসীমা ব্যবহার করে, সেটি আন্তর্জাতিক মানের তুলনায় ভিন্ন।

বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থা নিয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত শ্বেতপত্রে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান সংস্থা যে সংজ্ঞা ব্যবহার করেছে, তাতে বেকারত্বের হার কম দেখানো হয়েছে। কারণ ১৩তম আইসিএলএসের কর্মসংস্থানের বিস্তৃত সংজ্ঞা রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন



এ জাতীয় আরো খবর..
ইউটিউবে আমরা...
ফেসবুকে আমরা...