যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউএসএমসিএ চুক্তির আওতায় দেশটির পণ্যের ওপর সব
প্রতিশোধমূলক শুল্ক প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী
মার্ক কার্নি। প্রতিবেশী দেশের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন মার্কিন
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে ওয়াশিংটন-অটোয়া বাণিজ্যিক সম্পর্ক ফের
জোরদারের আশাবাদ দেশ দুটির।
দীর্ঘদিনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক থাকলেও ট্রাম্প দ্বিতীয়বার হোয়াইট
হাউসে ফেরার পর যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সম্পর্কে টানাপোড়েন দেখা দেয়। কখনও
আলোচনা আবার কখনও পাল্টাপাল্টি শুল্কারোপ করতে দেখা যায় দুই দেশকে। তবে
আবারও ইতিবাচক দিকে এগোতে দেখা যাচ্ছে দুই দেশের বাণিজ্যিক অংশীদারিত্বকে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাজধানী অটোয়া থেকে কানাডার
প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি ঘোষণা দেন, মার্কিন পণ্যের ওপর থেকে আমদানি
শুল্ক প্রত্যাহার করে নেবে দেশটি। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সই হওয়া
ইউ.এস.এম.সি.এ চুক্তির আওতায় এই পদক্ষেপ নিচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
কার্নি বলেন, ‘কানাডা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সবচেয়ে লাভজনক
বাণিজ্য চুক্তি করেছে। যদিও এটি আমাদের আগের চুক্তিগুলো তার থেকে আলাদা,
এটি এখনও অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে ভালো।’
তিনি জানান, কানাডা এখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যে অধিকাংশ পণ্য
মুক্ত বাণিজ্যের আওতায় আনছে। তবে স্টিল, অ্যালুমিনিয়াম ও গাড়ির ওপর শুল্ক
অক্ষুণ্ণ থাকবে। যাতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় কৌশলগতভাবে এগোনো যায়।
কার্নি ট্রাম্পের সঙ্গে বৃহস্পতিবার ফোনালাপে নিশ্চিত হয়েছেন যে, শুল্ক
প্রত্যাহার আলোচনাকে ত্বরান্বিত করবে।
প্রতিক্রিয়ায় ওভাল অফিসে এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন,
কার্নি তার প্রতিশোধমূলক শুল্ক প্রত্যাহার করছেন। তিনি এ পদক্ষেপকে স্বাগত
জানান। পাশাপাশি ট্রাম্প কার্নির সঙ্গে আবারও ফোনালাপের সম্ভাবনার কথা
ব্যক্ত করেন। এ সময় তিনি বলেন, কানাডা ও মেক্সিকো বহু বছর ধরে মার্কিনদের
অনেক ব্যবসা বাগিয়ে নিয়েছে, যা এখন আবারও যুক্তরাষ্ট্রে ফিরছে।
এ জাতীয় আরো খবর..