×

  • নিউজ ডেস্ক

    প্রকাশিত : তারিখ - ২০২৪-১২-২৫, সময় - ০৭:৪২:১৯

মা-বাবার দায়িত্বের মধ্যে সন্তানদের সুশিক্ষা ও সঠিক লালন-পালন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য। একটি সুস্থ, সভ্য ও আল্লাহভীরু সমাজ গঠনের জন্য মায়েদের ভূমিকা অমূল্য। সন্তানদের জীবনের প্রাথমিক শিক্ষা মায়ের থেকেই শুরু হয়। মায়ের স্নেহ-মমতা, আদর্শ ও আচার-আচরণ সন্তানের চরিত্র গঠনে সরাসরি প্রভাব ফেলে।

সন্তানের লালন-পালন ও সুশিক্ষা কোনো সাধারণ দায়িত্ব নয়; এটি একটি দীনি ফরজ কাজ। সন্তানের ভালো চরিত্র ও আখলাক তৈরি করতে মাকে নিজের জীবনেও তাকওয়া, পরহেজগারি ও আদর্শিক গুণাবলি অর্জন করতে হবে। প্রিয় নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সাহাবাদের জীবনের শিক্ষা দিয়ে সন্তানদের অন্তরে তাওহিদের বীজ রোপণ করতে হবে। বর্তমান যুগে সন্তানদের কার্টুন ও অপ্রয়োজনীয় কাজ থেকে বিরত রেখে ভালো মানুষ হওয়ার শিক্ষা দিতে হবে। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে এ মহান দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের তাওফিক দিন এবং আমাদের সন্তানদের আল্লাহভীরু বানান।

অতীতের বহু মহীয়সী মায়েরা তাদের সুশিক্ষা ও দীনদার জীবনের মাধ্যমে সন্তানদের আল্লাহওয়ালা বানিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে ইসলামিক শিক্ষার আলোকে মায়েদের গুরুত্ব ও দায়িত্ব তুলে ধরা জরুরি।

হজরত আবু হুরাইরা রা. তায়ালা আনহুমা থেকে বর্ণিত। রসুল সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘উটে আরোহনকারীনি মহিলাদের মধ্যে কুরাইশ বংশীয় মহিলারা সর্বোত্তম। (কারণ) তারা শিশু সন্তানদের প্রতি স্নেহশীল এবং স্বামীর মর্যাদার উত্তম হেফাজতকারীনি হয়ে থাকে।’

সন্তান লালন-পালন ও শিক্ষাদীক্ষার ক্ষেত্রে মায়ের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, সন্তান অধিকাংশ সময় মায়ের সাথেই থাকে। যদি মায়ের আদব-কায়দা, স্বভাব-চরিত্র ভালো থাকে, তখন এই গুণগুলো সন্তানের মধ্যেও চলে আসে। আর যদি উল্টা হয়, তখন সন্তানের মন-মস্তিস্কও বিগড়ে যায়। এজন্য সন্তানদেরকে আদব-আখলাক শিক্ষা দেওয়ার আগে সর্বপ্রথম মা-র মধ্যেই এসব গুণাবলি থাকতে হবে। মায়ের মধ্যে আদব-আখলাক, তাকওয়া-পরহেজগারি থাকতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন



এ জাতীয় আরো খবর..
ইউটিউবে আমরা...
ফেসবুকে আমরা...