শারজায় প্রবাসী উৎসব

সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ এক্সপো সেন্টারে আগামী ১৪, ১৫ ও ১৬ অক্টোবর হবে প্রবাসী উৎসব। প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত নানা আয়োজন থাকবে এ উৎসবে।

উৎসবের উদ্দেশ্য সম্পর্কে আয়োজক জর্জ খান জানিয়েছেন, বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের বড় অংশ আসে প্রবাসী আয় থেকে। এই আয় বাড়ানোর প্রত্যয়ে ‘আইডিয়া গ্যালারি’ দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে ‘রেমিটার্স ফেস্টিভাল’ বা ‘প্রবাসী উৎসব’ আয়োজন করছে। এ আয়োজনের মূল লক্ষ্য—বৈধ উপায়ে রেমিট্যান্স পাঠানোর বিষয়ে প্রবাসীদের মধ্যে সচেতনা বৃদ্ধি করা, রেমিট্যান্স কিভাবে বাড়ানো যায়, তার পথ খোঁজা।

তিনি জানান, ২০১৩ সাল থেকে এ আয়োজনে অংশ নিচ্ছে ব্যাংক, এক্সচেঞ্জ হাউস ও কমিউনিটি অ্যাসোসিয়েশন। বিগত চারটি ইভেন্টে সরকারে মন্ত্রী, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ব্যাংকার অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যানসহ অনেক ব্যাংকার যোগ দেন।

জর্জ খান আরও জানান, আইডিয়া গ্যালারি চলতি মাসের ১৪, ১৫ ও ১৬ তারিখ পঞ্চমবারের মতো প্রবাসী উৎসবের আয়োজন করছে। উৎসবটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এক্সপো সেন্টার শারজায় ১৪ তারিখ পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান উৎসবের উদ্বোধন করবেন। এতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী সাইদুর রহমান এবং অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ হোসেন যোগ দেবেন। প্রবাসী, ব্যাংকার, এক্সচেঞ্জ হাউজ এবং বাংলাদেশ মিশনের কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রতিদিন হবে আলোচনা সভা। রেমিট্যান্স বাড়াতে কী কী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে, তা জানতে এ আয়োজন।

মেলার দ্বিতীয় দিন থাকবে প্রবাসী নারীদের জন্য। প্রবাসী আয়ের একটা অংশ মহিলা কর্মী, ব্যবসায়ী এবং পেশাজীবিদের। রেমিটার্স ফেস্টিভালের দ্বিতীয় দিনের পুরো আয়োজনের দায়িত্ব বাংলাদেশ মহিলা সমিতির।

আয়োজক কমিটির আরেক সদস্য মামুনুর রশীদ জানান, অক্টোবরের ১ তারিখ থেকে ১৬ তারিখ পর্যন্ত উৎসবের রেমিট্যান্স পার্টনার আল ফারদান এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে যারা দেশে টাকা পাঠাবেন তাদের জন্য উপহার আছে। মেলাতে টাকা পাঠানোর রশিদ নিয়ে আসলেই পাবেন পুরস্কার। এখানেই শেষ নয়, মেলা থেকে যে কেউ টাকা পাঠাতে পারবেন। টাকা পাঠানোর রশিদ নিয়ে যারা আসবেন, তারা র‌্যাফেল ড্রতে জিততে পারবেন গোল্ডসেন্ডস হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টের সৌজন্যে কুয়াকাটায় পাঁচতারকা হোটেলের মালিকানা শেয়ার। এছাড়াও আছে শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন, মহিলা সমিতির বিশেষ ফ্যাশন শো, পিঠা উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.