যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভে ডাক্তার-নার্সদের যোগদান

পুলিশের হামলায় কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র। বর্ণ বৈষম্যের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় বইছে। বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে এই প্রতিবাদ।

বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন করোনা লড়াইয়ে সামনের সারির সৈনিক ডাক্তার-নার্সরাও। তাদের ভাষায়, বৈষম্যের বিরুদ্ধে এসব আন্দোলনকারীরাই এখন প্রকৃত বীর।

মাস্ক, হাসপাতালের পোশাক ও অন্যান্য ব্যক্তিগত সুরক্ষা পোশাক পরে একশ’র বেশি ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীকে বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের বিলেভু হাসপাতালের বাইরে বিক্ষোভে অংশ নিতে দেখা গেছে।

তাদের হাতের প্লেকার্ডে লেখা ছিল- ‘স্বাস্থ্য সেবা সবার জন্যই’, ‘বর্ণবাদ আমার রোগীকে মেরে ফেলছে’ প্রভৃতি স্লোগান।

করোনাভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রের রাজ্যগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত নিউইয়র্ক। শুধু নিউইয়র্ক শহরেই এই ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ২১ হাজার মানুষের। এতেও বর্ণবৈষম্যের আঁচ পাওয়া যায়।

আক্রান্ত-মৃতদের অধিকাংশই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীর। সরকারি হিসেবে বলা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে যেসব মানুষের মৃত্যু হচ্ছে তাদের ২৩ শতাংশই কৃষ্ণাঙ্গ।

অথচ, দেশটির মোট জনসংখ্যার মাত্র ১৩.৪ শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গ। নিউইয়র্কে করোনায় আক্রান্ত মৃত শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় দ্বিগুণ হারে মারা যাচ্ছেন কৃষ্ণাঙ্গরা।

বিক্ষোভে অংশ নিয়ে ডাক্তার-নার্সরা বলছেন, আন্দোলনকারীদের ‘ধন্যবাদ!’ ‘আমরা তোমাদের ভালোবাসি’ স্লোগান ধরতেও দেখা গেছে তাদেরকে।

ডাক্তার ইদোউ বলেন, বৈষম্যের বিষয়গুলো আন্দোলনকারীরা তুলে ধরেছে। ঝুঁকির মধ্যেও তারা তাদের শরীর পেতে দিয়েছে। গ্রেফতার হওয়ার ঝুঁকি নিচ্ছে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ানোর ঝুঁকি নিচ্ছে। তারাই এখন আসল বীর।

প্রসঙ্গত, ২৫ মে যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের হাতে নির্মমভাবে হত্যার শিকার হন জর্জ ফ্লয়েড। তাকে মাটিতে ফেলে ঘাড়ে হাটু চাপাা দিয়ে নি:শ্বাস বন্ধ করে মারা হয়। এই নৃশংসতার প্রতিবাদে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভ চলছে।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.