মানবিকতার বিজয়

আশিকুজ্জামান টুলু, গীতিকার ও সুরকার, আর্ক ব্যান্ডের মূল উদ্যোক্তা

১৯৭১ সাল । স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু হওয়ার ঠিক পূর্ব মুহূর্ত । পুরানো ঢাকার ১৩৬/২ হাজী ওসমান গনি রোডে আমাদের বসবাস । ঐ সময়টায় মানুষের মাঝে মানবিকতার প্রচন্ড এক জোয়ার এসেছিলো, সবাই সবার কিছু না কিছু সাহায্যে এগিয়ে আসতে একটুও দ্বিধা করতো না । আমাদের এই ১৩৬/২ নম্বর হোল্ডিঙে ৭ ঘর ভাড়াটিয়া ছিলো । আমাদের বাড়িওয়ালা হাজী সাহেব ছিলেন ঢাকাইয়া । স্বাধীনতার পরে আমার মা’র কাছে শুনেছিলাম যে উনি ঐ নয় মাস আমাদের কাছে একটা টাকাও ভাড়া দাবি করেন নাই যদিও আমরা ঐ নয় মাসের বেশির ভাগ সময় পালিয়ে পালিয়ে কাটিয়েছিলাম গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে । ফিরে আসার পর বকেয়া ভাড়াও উনি মাফ করে দিয়েছিলেন ।

এখন বলা হয় মানুষের মাঝে কোন মানবিকতা নাই, বিবেক নাই । হয়তো অনেক ক্ষেত্রেই তা নাই তবে যদি আবার কালেক্টিভ ভাবে প্রয়োজন হয়, কেন যেন আমার বিশ্বাস সবাই ঠিকই এগিয়ে আসবে একজন আরেকজনের সাহায্যে । যত কিছুই হয়ে যাক না কেন, এটা মানুষের নেচার, বেসিক ইন্সটিঙ্কট ।

১৯৮৭ সালে একবার রাত দুইটার সময় আমার ইয়ামাহা হান্ড্রেড বাইকটা নিয়ে মিরপুর রোডে কলাবাগানের সামনে বিরাট এক অ্যাক্সিডেন্ট করে বসলাম । অ্যাক্সিডেন্টটা একাই করলাম অর্থাৎ প্রচণ্ড গতিতে থাকা কালিন হঠাত রাস্তায় একটা গর্তে সামনের চাকা পড়ে যায় এবং প্রচণ্ড ঝাঁকুনিতে বাইকটা উড়ে গিয়ে বেশ কয়েক গজ দূরে ছিটকে পড়ে, আমিও রাস্তায় উড়ে যাওয়া কাগজের মতো পড়ে যাই । নিঝুম নিশুতি রাতে তখন রাস্তার দুয়েকটা নেড়ি কুকুর ছাড়া আর কেউ নাই, কোথা থেকে অপরচিত পথচারী দুই দেবদূত এসে উপস্থিত হয়ে গেলো । আহত আমার রাস্তায় পড়ে থাকা শরীরটাকে খুব যত্নে টেনে তুললো, দুটো রিক্সা ডেকে একটায় আমাকে আর আরেকটাতে আমার ভেঙ্গে যাওয়া বাইকটাকে তুলে প্রথমে এমারজেন্সিতে নিয়ে গেলো । ডাক্তারদের দিয়ে আমাকে ব্যান্ডেজ করালো, না কোন হাড় ভাঙ্গেনি তবে ডান গালের এক লেয়ার চামড়া উঠে গিয়েছিলো এবং হাতে পায়ের অন্যান্য যায়গায় জখম হয়েছিলো । ব্যান্ডেজ শেষে আমার বাইক সহ আমাকে আমাদের ১৫/১৩ তাজমহল রোডের বাসায় পৌঁছে দেয় । ঐ সময়ের প্রতিটা মুহূর্ত ঐ খুব সাধারণ দুটো মানুষ যাদের ছিলোনা পরিচয় দেয়ার মতো কোন গালভরা পদবী, ছিলোনা কোন বিরাট ডিগ্রী, ছিলোনা কোন ঘরে ফেরার তাড়া, রাতের আধারে একজন এক্সিডেন্টের রোগীকে নিয়ে ঘুরে বেড়ানোতে ছিলোনা কোন ভয়, ওদেরকে আমার কাছে পৃথিবীতে সবচাইতে আপন লেগেছিলো, ইচ্ছা করেছিলো জড়িয়ে ধরতে । আমাকে বাসায় পৌঁছে দেয়ার পর আম্মা ওদেরকে টাকা সেধেছিলেন, ওরা এক পয়সাও নেয় নাই, আম্মা জোর করে রিক্সা ভাড়াটা ওদের বুক পকেটে গুজে দিয়েছিলেন । ওরা গভীর রাতে বিবেক আর মানবিকতার জোয়ার বইয়ে দিয়ে ঘুমিয়ে থাকা শহুরে সভ্যতার রাস্তা ধরে কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছিলো সেদিন, আর ফিরে আসেনি কোন দাবী নিয়ে পরবর্তীতে । তাই সবসময় মনে হয় যখন বিপদ আসে তখন মানবিকতা দেখানোর জন্য কিছু দেবদূত নেমে আসে দিন কিংবা রাতের শরীরে ।

মানবিকতা ও বিবেকের কথা বলতে গিয়ে মনে পড়ে গেল জিক্কু, শামা, জহুর সাহেব কিংবা মির্জা ভাইয়ের কথা । ১৩৬/২ হাজি ওসমান গনি রোড বাসাটার দোতলায় লিয়াকতদের ফ্ল্যাটের অপজিটে থাকতো জিক্কু ও শামা । ওরা দুই ভাই বোন । পড়ত হয়তো কলেজ বা ইউনিভার্সিটিতে । প্রচন্ড মদ্যপ জহুর সাহেব থাকতেন জিক্কুদের বাসার নিচের তলাটায় অর্থাৎ আমাদের ঠিক সামনের ফ্ল্যাটটায় । আর মির্জা ভাই, আসলে উনি আমাদের ভাই মোটেই ছিলেন না, উনি আম্মার মির্জা ভাই ছিলেন, আম্মা ওনাকে মির্জা ভাই বলে সম্বোধন করতেন । উনি ছিলেন আমাদের মোহাম্মদপুর ১৫/১৩ তাজমহল রোডের বাড়ীর ভাড়াটিয়া । এই জিক্কু শামা জহুর সাহেব মির্জা ভাই, এনারা ছিলেন বিহারী অর্থাৎ উর্দুভাষী । ২৫শে মার্চের কালরাত্রির পর থেকে আমরা গ্রামে পালিয়ে যাওয়া অবধি জিক্কু শামা জহুর সাহেবের এক ভিন্ন রুপ দেখেছিলাম ।

সাদাদের দেশে ওদের একটা ভারিক্কী অভিব্যাক্তি নিয়ে ওরা যেমন চলাফেরা করে, স্বাধীনতার আগে ঢাকায় বিহারীরা ঠিক সেইরকম একটা ভারিক্কী অভিব্যাক্তি নিয়ে চলাফেরা করতো এবং এমন একটা ভাব দেখাতো যে পূর্ব পাকিস্থানটাও ওদের বাপ দাদার সম্পত্তি, আমাদের দয়া করে ওদের দেশে থাকতে দিয়েছে । ২৫শে মার্চের পর থেকে ঢাকা শহরে কারফিউ পড়ে গেলো এবং শহরে আর্মি এবং পরবর্তীতে রাজাকার আলবদররা নেমে গেল । এই মদ্যপ জহুর সাহেব (যিনি সারা জীবন শুধু মদ খেয়ে ঝুলতে থাকতেন আর রক্তচক্ষু দিয়ে আমাদের দেখতেন) এবং ওনার সাথে জিক্কু শামারা আমাদের বাকি ৫ ঘর বাঙ্গালীদের ঐ হারামজাদা রাজাকার আলবদরদের হাত থেকে আগলে রাখার পন করলেন । আমাদের ডেকে একটা ছোট্ট বৈঠকের মাধ্যমে উর্দুতে সবাইকে জানিয়ে দিলেন আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ । আরও জানালেন কিভাবে ঐ পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হবে এবং কোন কিছুর বিনিময়েই আমাদের গলিতে রাজাকার আলবদরদের ঢুকতে দেয়া যাবেনা প্রান থাকতে । একটা ছোট্ট বাহিনীও তৈরী হয়ে গেল ওনাদের ইন্সট্রাকশনে । জিক্কু শামা এবং লিয়াকতদের বাসার ছাদে জমানো হলো ইট পাটকেল, সময় মতো গরম পানি । সাথে যোগ হলো জহুর সাহেবের দোনলা বন্দুক এবং বেশ কিছু কার্তুজ । লিয়াকত এবং জিক্কু শামাদের ছাদের ওপর থেকে হাজি ওসমান গনি রোডটা পরিষ্কার দেখা যেতো । কারফিউয়ের মধ্যে হই চই শুনলেই আমরা গলির প্রচণ্ড পিচ্চিরা লিয়াকতদের দোতলা বাসার সামনের বারান্দার ঘুলঘুলি দিয়ে তাকিয়ে রাস্তাটা যতটুকু দেখা যায়, ছোট্ট চোখ আর ভীত ছোট্ট মন নিয়ে দেখতে চেষ্টা করতাম । ওরকম খালি রাস্তায় যদি কোন খাকী পোশাক পরা রাজাকারের দল দেখতাম, সাথে সাথেই বড়দের খবর দিতাম । জহুর সাহেব ওনার দোনলা বন্দুক নিয়ে ছাদে চলে যেতেন । আমরা ওনাদের ছাদের মইয়ে উঠে উকি দিয়ে দেখেছি জহুর সাহেব তার বন্দুক নিয়ে রাস্তার দিকে তাক করে ছাদে শুয়ে আছেন, জিক্কু লিয়াকত এবং গলির আরও কয়েকজন ইট পাটকেলের পাশে সুয়ে আছে, যখন প্রয়োজন হবে, ইট মারতে সুরু করবে । গলির প্রধান ফটকটা খিল ও ডাসা দিয়ে খুব মজবুত করে বন্ধ করা হতো । কি এক উত্তেজনা, ভয় এবং সাথে সবার সম্মিলিত ভবিতব্য বিজয়কে ভেবে উন্মাদনা । তবে আমরা ঢাকা থেকে পালিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত আমাদের ঐ গলিতে কোন আক্রমন হয় নাই ।

আর ওদিকে মির্জা ভাই ২৫ শে মার্চের পর থেকে আমরা পালিয়ে যাওয়ার আগে পর্যন্ত বাসায় এসে আম্মার হাতে ভাড়া দিয়ে গিয়েছেন । ঐ সময় কোনভাবেই মোহাম্মদপুর যাওয়া যেতো না, মিরপুর ও মোহাম্মদপুর ছিল বিহারীদের স্বর্গরাজ্য । তবে মির্জা ভাই স্বয়ং ধরে রাখতে পারেন নাই আমাদের বাসাটাকে, ওনার চাইতে শক্তিশালী বিহারী এবং রাজাকারদের দল এসে ওনাকে সময় দেয় উঠে যেতে । উনি উঠে গেলে ওরা দখল করে নেয় বাসাটা । উনি চেষ্টা করেছিলেন বাসাটাকে অক্ষত রাখতে কিন্তু উনি পারেন নাই । স্বাধীন হওয়ার পর যখন গিয়েছিলাম আমাদের ঐ বাসায়, নিজেরাই চিনতে পারিনি নিজেদের বাসাটাকে ওরা এত ক্ষতি সাধন করেছিলো বলে ।

স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে খবর পেলাম খুব তাড়াতাড়ি দেশ স্বাধীন হয়ে যাবে । দেশ স্বাধীন হওয়ার কিছুদিন আগে আমরা গ্রাম ছেড়ে চলে এলাম ঢাকা । নানাভাইয়ের মিরপুর ১২ নম্বর কালাপানির বাসাটা বিহারীরা দখল করে নেয়ায় উনি চলে এসেছিলেন আমাদের সাথে । আমরা গ্রাম থেকে ফিরে আসার পর জিক্কু শামা অথবা জহুর সাহেবকে আর দেখি নাই ওনাদের বাসায় । ওনাদের বাসা দুটো খালি পড়ে ছিলো । ওনারা হয়তো আগেই বুঝতে পেরেছিলেন পাকিস্থানি আর্মিদের দুর্দশা তাই হয়তো সময় সুযোগে পালিয়েছিলেন পাকিস্থান । প্রচণ্ড খারাপ সমাজেও এরকম দুয়েকজন জিক্কু শামা জহুর সাহেব বিরাজ করেন বলেই বিশ্বমানবিকতার শেষ বিন্দুটা বিলিন হয়ে যায় না । যারা শিন্ডলার লিস্ট দেখেছেন তারা হয়তো এই কথার সাথে ঐ ঘটনারও একটা যোগসুত্র খুজে পেতে পারেন ।

১৬ ডিসেম্বর যেদিন স্বাধীন হলো দেশ, সেদিন মনে হলো সবচাইতে বেশি গুলির আওয়াজ শুনছিলাম, ব্রাশ ফায়ার, সিঙ্গেল ফায়ার, রাইফেলের গুলি, স্টেন গানের গুলি, মেশিন গানের গুলি ঠা ঠা ঠা ঠা ঠা ঠা…………। অথচ এক মুহূর্তের জন্য বুক কাঁপেনি বরং বড়দের অত খুশী হতে দেখে আমাদেরও খুশির কান্না এসেছিলো চোখে । বাসার সামনে রাস্তায় দাড়িয়ে দেখেছিলাম সারি সারি জিপ মুক্তি বাহিনী বিডিআর দের নিয়ে ধীরে ধীরে আগাচ্ছে আর গাড়িতে দাড়িয়ে দাড়িয়ে ওরা আকাশের দিকে তাক করে মুহুর্মুহু গুলি করছে, জয় বাংলা জয় বাংলা চিৎকারে আকাশ বাতাস প্রকম্পিত হচ্ছে, কি আনন্দের ঢল নেমেছে হাজি ওসমান গলি রোড, সিদ্দিক বাজার, বংশাল, নওয়াবপুর রোড ধরে ।

আমাকে নিয়ে নানাভাই বের হলেন, হেটে হেটে আমরা বিজয় দেখতে থাকলাম, আনন্দ দেখতে থাকলাম । রাস্তায় যেতে যেতে রাস্তায় পড়ে থাকা সারি সারি লাশ দেখে ভয়ে আর কষ্টে মন খারাপ হতে থাকলো । তবে ঐ ছোট্ট বয়সেই বীভৎস রক্ত প্রবাহের ট্রমায় অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলাম পারিপার্শ্বিকতার কারনে । বহুদিন আমরা ভয়ে বিসিসি রোডে ঢুকিনি কারন তখন বনগ্রামে প্রচুর বিহারী থাকতো এবং ওদিকে গেলে বাঙ্গালীদের মারধোর করতো । কিন্তু সেদিন নির্ভয়ে বিসিসি রোড ধরে বীরদর্পে হেটে গিয়েছিলাম । পৌঁছে গিয়েছিলাম বঙ্গভবনে । সেদিনের আগে কোনদিনও সুযোগ হয় নাই বঙ্গভবনে ঢোকার, সেদিন বুক ফুলিয়ে হেটে ঢুকে গিয়েছিলাম বঙ্গভবনে ।

গুলিস্থানের কাছে পড়ে থাকতে দেখেছিলাম নিরীহ চার পাচজনের লাশ । মাঝে মাঝেই ড্রেনে কিংবা রাস্তায় পড়ে থাকা লাশগুলি সাক্ষী দিচ্ছিলো পাকিস্থানি আর্মিদের চুড়ান্ত বীভৎসতা, বর্বরতা । বঙ্গভবনের গেট দিয়ে ঢুকতেই পড়ে থাকতে দেখলাম দুজন পাকিস্থানি আর্মির মৃতদেহ, একজনের উরু পর্যন্ত খাকী প্যান্টটা ছেড়া, হাটুর পিছন দিকটায় বিরাট একটা গর্ত । কিভাবে ওরকম গর্ত হয়েছিলো আজও মাঝে মাঝে ভাবি কিন্তু উত্তর পাই না । রক্ত পড়ে শুকিয়ে শক্ত হয়ে গিয়েছে । হাঁটতে হাঁটতে বঙ্গভবনের সামনের প্রধান হলটায় গিয়ে ঢুকলাম । সারা হলটার মাটিতে পড়ে আছে ঝালর বাতিতে ঝোলানো মার্বেলের চাইতে বড় সাইজের শত শত ক্রিস্টল, চারিদিকে ধ্বংসস্তূপ । উপরে তাকিয়ে দেখলাম গম্বুজটা ক্ষতবিক্ষত প্লেনের বম্বিংয়ে, ভেঙ্গে যাওয়া গম্বুজের ফাক দিয়ে আমার স্বাধীন দেশের মুক্ত আকাশ দেখা যাচ্ছে । অনেক ভাঙ্গা কাচ পড়ে আছে মেঝেতে । নানাভাই আর ভিতরে এগোলেন না, আমরা বেরিয়ে আসলাম ।

যারা শুধু মাত্র সিনেমায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসাবশেষ দেখেছেন, তারা উপলব্ধি করতে পারবেন না যে আসল ধ্বংসাবশেষ দেখার অভিজ্ঞতা কেমন হয় । সারা শহরে সারি সারি মৃতদেহ আর সাথে মুহুর্মুহু বিজয়ের আনন্দের বুলেট মনে কেমন এক মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছিলো । আনন্দ করবো নাকি কাদবো, বুঝে ওঠা ছিলো কঠিন । ঐ ধ্বংসাবশেষ দেখার সুযোগে মনে সৃষ্ট ট্রমা আজও যায় নাই এবং সেকারণেই মন কিছুতেই আজবধি ভুলতে পারেনা ২৫শে মার্চ, ১৬ই ডিসেম্বর অথবা ১৯৭১ । ১৯৭১ এর রক্তক্ষরণের স্মৃতি মনে হয় শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত বুকের ভিতর ঢিপ ঢিপ করে ডামাডোল বাজিয়ে যেতে থাকবে । বাজুক ডামাডোল, কোন অশুবিধা নাই বরং ডামাডোল থেমে গেলেই আর ভাল লাগবেনা, মনে হবে নিজ দেশে পরবাসী হয়ে গিয়েছি ।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.