‘ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই করোনা টিকার প্রয়োগ’

দেশে করোনা টিকার অন্তত ১৪ থেকে ১৫ কোটি ডোজ রাখার ব্যবস্থা সরকারের হাতে রয়েছে। ৪-৫ কোটি টিকা এলে তা সঠিকভাবে প্রয়োগে কোনো সমস্যা হবে না। ইতোমধ্যে টিকা প্রয়োগের জন্য টেকনোলজিস্ট, নার্স, মিডওয়াইফ, স্বেচ্ছাসেবকসহ ৪২ হাজার কর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। আগামী ২৫-২৬ জানুয়ারির মধ্যে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত টিকার প্রথম লট আসার কথা রয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে টিকা প্রয়োগ শুরু হবে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রয়োগ নিয়ে আয়োজিত সভা শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। তিনি বলেন, ভ্যাকসিন যাতে সুন্দরভাবে দেওয়া যায় সেজন্য একটি অ্যাপ তৈরি করা হচ্ছে। আইসিটি মন্ত্রণালয় এটি তৈরি করছে। অ্যাপসের মাধ্যমে ভ্যাকসিনপ্রার্থী নিবন্ধন করতে পারবেন। নিবন্ধন করলে তিনি ভ্যাকসিন গ্রহণের সময় ও স্থান পাবেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দেশজুড়ে করোনা টিকা দেওয়ার জন্য সাত হাজার ৩৪৪টি দল তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি দলে দু’জন টিকাদান কর্মী এবং চারজন স্বেচ্ছাসেবক মিলিয়ে ছয়জন সদস্য থাকবেন। একটি দল প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ জন মানুষকে টিকা দিতে পারবে। সারাদেশে টিকাদান কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দুটি মনিটরিং সেল তৈরি করা হচ্ছে, যা শিগগিরই কার্যক্রম শুরু করবে। তিনি বলেন, ভ্যাকসিন এলে তা পরিবহন ও সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা করেছি। প্রতিটি জেলায় যে স্টোরেজের ব্যবস্থা রয়েছে, সেখানে সাত লাখ ডোজের বেশি ভ্যাকসিন রাখা সম্ভব হবে। উপজেলা পর্যায়ে দুই লাখের অধিক ডোজ রাখা যাবে। টিকা রাখার স্টোরেজের নিরাপত্তা বাড়ানো হচ্ছে।

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও করোনাভাইরাসের টিকা এনে তা দিতে পারবে। টিকা আমদানি এবং কীভাবে প্রয়োগ হবে তা নিয়ে একটি নীতিমালা তৈরি হচ্ছে। নীতিমালার মধ্যে সবকিছু থাকবে। তারা কীভাবে দেবে, কীভাবে হিসাব রাখবে, কী দামে দেবে- এ বিষয়গুলো ঠিক করে দেওয়া হবে।

মন্ত্রী আরও জানান, বাংলাদেশে থাকা বিদেশি নাগরিকদেরও টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী টিকা দেওয়া হবে।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.