‘পাঁচ দেশের নেতাদের সফর শেখ হাসিনার প্রতি আস্থার প্রতিফলন’

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে, নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভান্ডারী, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ ও ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে, নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভান্ডারী, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ ও ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং.

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যেই বাংলাদেশে পাঁচ দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের সফর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আস্থার প্রতিফলন।

সোমবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সব ক্ষেত্রে এগিয়ে গেছে, উন্নয়নের মডেলে পরিণত হয়েছে, এটি তারও স্বীকৃতি।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১৭ থেকে ২৭ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। এতে অংশ নিতে ১৭ মার্চ আসছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ, ১৯ মার্চ আসবেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে, নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভান্ডারী আসবেন ২২ মার্চ, ২৪ মার্চ আসবেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং এবং ২৬ মার্চ আসবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আমন্ত্রিত রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের প্রত্যেকের সফরই হবে দুই দিনের।

এ ছাড়া বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান এই উদযাপন উপলক্ষে ভিডিওবার্তা পাঠাবেন। এখন পর্যন্ত ভিডিওবার্তা পাঠানোর বিষয় নিশ্চিত করেছেন কানাডা, ফ্রান্স, জাপান ও চীনের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা। এ ছাড়া আরও কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরাও ভিডিওবার্তা পাঠাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিস্তা চুক্তিতে আরও আগেই ভারত-বাংলাদেশের সচিবরা সই করেছেন। তবে তা বাস্তবায়ন হয়নি।

২০১১ সালে তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এর সফরের সময়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে তিস্তা চুক্তির বিষয়টি উঠেছিল। তখন দুই দেশের সচিবরা এতে সই করেন। ওই চুক্তির পাতায় পাতায় সই আছে বলেন এ কে আব্দুল মোমেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, যেসব দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা আসছেন, তাদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে বিভিন্ন চুক্তি সই হবে। তবে কোন দেশের সঙ্গে কী কী চুক্তি কিংবা সমঝোতা স্মারক সই হবে, সেটা এখনই বলা সম্ভব নয়। কারণ, এ বিষয় নিয়ে এখনও কাজ চলছে।

মন্ত্রী বলেন, ১৭ থেকে ২৭ মার্চ ঢাকায় চলাফেরায় সাময়িক অসুবিধা হতে পারে। তবে বেশি অসুবিধা যেন না হয়, সে জন্য সরকারি ছুটির মধ্যেই বেশি কর্মসূচি রাখা হয়েছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ওড়াকান্দি একটি তীর্থস্থান। ভারতের প্রধানমন্ত্রী সেই তীর্থস্থানে প্রার্থনা করতে যাবেন।

সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিফ অব প্রটোকল আমানুল হক উপস্থিত ছিলেন।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.