নাভালনির মরদেহ দুই সপ্তাহ পর পাবে পরিবার

রাশিয়ার কারাগারে মারা যাওয়া অ্যালেক্সেই নাভালনির মরদেহ আরও দুই সপ্তাহ পর পরিবারকে হস্তান্তর করা হবে। নাভালনির মুখপাত্র কিরা ইয়ারমিশ জানান, তাঁর মাকে জানানো হয়েছে, মরদেহ রাসায়নিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। এতে দুই সপ্তাহ সময় লেগে যাবে।

নাভালনির মরদেহটি কোথায় রাখা হয়েছে– সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত করেনি রুশ কর্তৃপক্ষ। সেটি জানতে চাওয়ার সব চেষ্টাই ব্যাহত করে দেওয়া হচ্ছে। মরদেহ লুকানোর অভিযোগ করেছেন নাভালনির স্ত্রী ইউলিয়া লাভালনায়া। সোমবার এক ভিডিও বার্তায় তাঁর স্বামীর ‘মুক্ত রাশিয়া’র স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন তিনি। এ সময় স্বামীর মৃত্যুর জন্য সরাসরি প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে দায়ী করেন। তিনি আরও অভিযোগ করেন যে নাভালনির শরীর থেকে ‘নোভিচক নার্ভ এজেন্ট’-এর চিহ্ন গায়েব করার জন্য মরদেহ লুকিয়ে রাখা হয়েছে। তবে মঙ্গলবার পুতিনের মুখপাত্র বলেন, নাভালনিকে নোভিচক প্রয়োগের অভিযোগ ভিত্তিহীন।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের অন্যতম শক্তিশালী রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছিল নাভালনিকে। ১৯ বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল তাঁর। দেশটির সাইবেরিয়া পেনাল কলোনির একটি কারাগারে নির্জন প্রকোষ্ঠে কারাভোগ করছিলেন এই বিরোধী নেতা। গত শুক্রবার কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, কারাগারে মারা গেছেন ৪৭ বছর বয়সী নাভালনি।

নাভালনির মৃত্যুর খবরটি ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে নাভালনির মা এবং আইনজীবী সেই প্রত্যন্ত কলোনিতে ছুটে গিয়েছিলেন। কিন্তু কারাগারের মর্গ ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ মৃতদেহ খুঁজে বের করার চেষ্টায় বারবার ব্যাহত করেছে। সোমবার ক্রেমলিন জানায় যে নাভালনির মৃত্যুর বিষয়ে তদন্ত চলছে এবং এখন পর্যন্ত তদন্ত থেকে কোনো ফল পাওয়া যায়নি।

এক দশক ধরে রুশ বিরোধী দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করা নাভালনি ১৯ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছিলেন। তবে তিনি যেসব অপরাধে দণ্ডিত হয়েছিলেন, সেগুলো অনেকে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করেন। পশ্চিমা নেতারাও নাভালনির মৃত্যুর জন্য সরাসরি প্রেসিডেন্ট পুতিনকেই দায়ী করেন। খবর বিবিসির।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.