দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টকে যুক্তরাষ্ট্রের তোতাপাখি বললেন কিমের বোন

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের বোন কিম ইয়ো জং। ধারণা করা হয়, দেশটিতে কিম জং উনের পর ৩২ বছর বয়সী কিম ইয়ো জংই সবচেয়ে ক্ষমতাধর। কিছুদিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে হুমকি দিয়ে কিম ইয়ো জং বলেছিলেন, আগামী চার বছর যদি ভালো করে ঘুমাতে চান তবে শুরু থেকেই এমন কোন পরিস্থিতি তৈরি না করাই ভালো যা আপনার ঘুম কেড়ে নিতে পারে। এবার আক্রমণাত্মক কথা বলে আবারো আলোচনায় তিনি।

সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে মন্তব্য করায় দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে ইনের ওপর চটেছেন তিনি। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়- প্রেসিডেন্ট মুন জে ইনকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বানানো ‘তোতাপাখি’ বলে অভিহিত করেছেন। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাতে পত্রিকাটি জানায়- এক বিবৃতিতে কিম ইয়ো জং বলেন, আমরা মুন জে ইনের নির্লজ্জতায় অবাক না হয়ে পারি না। যুক্তরাষ্ট্রের বানানো তোতাপাখি হিসেবে ‘প্রশংসিত’ হয়ে তিনি এতটুকু দুঃখিত নন।

এমন বক্তব্যের জবাবে সিওলের একত্রীকরণ বিষয়ক মন্ত্রী “তীব্র আফসোস” প্রকাশ করে বলেছেন, দুই কোরিয়াকে অবশ্যই “যে কোন পরিস্থিতিতে ন্যূনতম শিষ্টাচার” পালন করতে হবে।

ডয়চে ভেলে জানায়- উত্তর কোরিয়ার সাম্প্রতিক ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে ইন বলেছিলেন, “এমন পদক্ষেপ সংলাপের সম্ভাবনাকে আরো কঠিন করে তুলবে। মানুষ এ নিয়ে উদ্বিগ্ন।” তার এ বক্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বক্তব্যের সাথে প্রায় মিলে যায়। হয়তো এ কারণেই
কিম ইয়ো জং প্রেসিডেন্ট মুন জে ইনকে যুক্তরাষ্ট্রের বানানো তোতাপাখি বলেছেন।

প্রসঙ্গত, কিম ইয়ো জং হচ্ছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের ছোট বোন। ভাইবোনদের মধ্যে যাকে কিম জং উনের একমাত্র মিত্র বলে মনে করা হয়। গত কয়েক বছরে উত্তর কোরিয়ার দুর্বোধ্য ক্ষমতা কাঠামোয় কিম ইয়ো জং একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। তিনি প্রথম গুরুত্বপূর্ণ পদোন্নতি পান ২০১৭ সালে যখন তাকে দেশটির ক্ষমতাসীন পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য করা হয়। মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কালো তালিকায় তার নাম রয়েছে।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.