থিফগার্ড অ্যাপ স্মার্টফোন চুরি প্রতিরোধে সহায়তা করবে

স্মার্টফোন চোরের হাত থেকে সুরক্ষায় ‘থিফগার্ড’ নামে যুগান্তকারী অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ চালু করলো সফটালজি লিমিটেড নামের দেশীয় একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। হারিয়ে যাওয়া ডিভাইস শনাক্ত ও পুনরুদ্ধারে সাহায্য করবে অ্যাপটি। বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই অ্যাপটি চালু করা হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মোবাইল ফোন চুরি হলে চোরের ছবি ও লোকেশন জানতে সহায়তা করবে অ্যাপটি। এ সময় চোর মোবাইল ফোন বন্ধ করতে পারবে না। চোর মোবাইল ফোনটি কম্পিউটারের সঙ্গে কানেক্ট করতেও পারবে না। মোবাইলের সিম চেঞ্জ করলে মালিককে নতুন সিম নাম্বার জানিয়ে দিবে। অনুমতি ব্যতীত কেউই ডিভাইসে থাকা কোনো ডাটাতে অ্যাক্সেস করতে পারবে না।

মোবাইল ফোন চুরি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাতের কাছে যেকোনো স্মার্টফোন অথবা কম্পিউটার থেকে www.thiefguardbd.com ওয়েবসাইটে গিয়ে ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করলেই চুরি হয়ে যাওয়া মোবাইল ফোনের ক্যামেরা চালু করা যাবে এবং চুরি হওয়া মোবাইল থেকে মোবাইলের মালিকের ইমেইলে ছবি পাঠাতে থাকবে। এ সময় জিপিএস অন করে দিলে লোকেশনও পাঠাতে থাকবে।

এই অ্যাপে অন্যান্য ফিচারের মধ্যে রয়েছে- মোবাইল ফোনের মালিক চাইলে হারিয়ে যাওয়া ফোনের স্ক্রিন লক করতে পারবেন। এছাড়া যেকোনো সময় ভাইরাস স্ক্যান করতে পারবেন। যেকোনো পাবলিক প্লেসে অন্য কেউ পকেট থেকে মোবাইল বের করতে চাইলে সাইরেন বেজে উঠবে। মোবাইলটা টেবিলে বা চার্জে দিয়ে অন্য কোথাও থাকলে এবং সে সময়ে কেউ মোবাইলটা চার্জ থেকে খুলতে চাইলে তাৎক্ষণিক সাইরেন বেজে উঠবে। যতক্ষণ পর্যন্ত সঠিক প্যাটার্ন দিয়ে নির্দিষ্ট অপশনে গিয়ে বন্ধ না করবে ততক্ষণ পর্যন্ত অ্যালার্ম বাজতেই থাকবে।

সদ্য উন্মুক্ত হওয়া অ্যাপটির ব্যাপারে সফটালজি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাইদুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে দ্রুত গতিতে স্মার্টফোনের ব্যবহার বাড়ছে। প্রিয় এই স্মার্টফোনে অতিপ্রয়োজনীয় অনেক তথ্য, ফোন নাম্বার, ছবিসহ আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষিত থাকে। কিন্তু ফোনটি চুরি হলে বা হারিয়ে গেলে সেসব দরকারি তথ্যাদি পাওয়া অনেক কঠিন হয়ে যায়। আমাদের উদ্ভাবিত অ্যাপ স্মার্টফোনে ইনস্টল করা থাকলে আগামীতে নির্ভয়ে ফোন ব্যবহার করা যাবে এবং আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, ফোন নাম্বার ও প্রিয় মোবাইল ফোনটি সুরক্ষিত থাকবে।

এই অ্যাপটি অ্যান্ড্রয়েড-৭ থেকে যেকোনো ভার্সনে ব্যবহার করা যাবে। আপাতত এক বছর ও দুই বছর মেয়াদী এ থিফগার্ড অ্যাপটি সারাদেশের মোবাইল ফোনের দোকানে পাওয়া যাচ্ছে। এ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানা যাবে এই ওয়েবসাইটে।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.