জায়েদ খান-মিশাকে বয়কট চলচ্চিত্র পরিবারের

করোনাকালে চলচ্চিত্র স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানকে বয়কট করল চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিবেশক সমিতি, পরিচালক সমিতিসহ ১৭টি সংগঠন মিলে তৈরি ‘চলচ্চিত্র পরিবার’।

বুধবার এফডিসিতে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সংগঠনগুলোর নেতারা একযোগে তাকে বয়কটের ঘোষণা দেন। অন্যদিকে সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর আগে থেকে নিষিদ্ধ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন নেতারা। যদিও এ পরিবারের মধ্যে শিল্পী সমিতি এক সময় অন্তর্ভুক্ত থাকলেও বুধবার তাদের সম্মেলনে ডাকা হয়নি। সংবাদ সম্মেলনে জায়েদ খানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগে চলচ্চিত্র পরিবারের নেতা পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার বলেন, চলচ্চিত্র নির্মাণে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি নির্মাণ ব্যয় কমানোর লক্ষ্যে এবং সুষ্ঠু পরিবেশ ও আস্থা ফিরিয়ে আনতে চলতি বছরের শুরুর দিকে আমরা চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সবাই একত্রে মিলিত হয়ে ‘চলচ্চিত্র নির্মাণসংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন কমিটি’ নামে একটি কমিটি গঠন করি।

সব সমিতি এ কমিটির নীতিমালার সঙ্গে একমত পোষণ করলেও শুধু ব্যক্তি স্বার্থের কারণে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি এর বিরোধিতা করে। আমরা তাদের বোঝানোর জন্য বেশ কয়েকজন সিনিয়র শিল্পীদের নিয়ে একটা সভা করি। যাদের অধিকাংশই আবার শিল্পী সমিতির উপদেষ্টা। তারাও আমাদের নীতিমালার প্রশংসা করেন এবং চলচ্চিত্রের স্বার্থে নীতিমালাটিকে মেনে নেয়ার জন্য শিল্পী সমিতির নেতাদের অনুরোধ করেন। কিন্তু তারপরও শিল্পী সমিতির নেতারা আমাদের সবার মতামতের ভিত্তিতে তৈরি নীতিমালাকে মেনে নেননি।’ জায়েদ খানের নাম উল্লেখ করে ১৭ সংগঠনের পক্ষে গুলজার বলেন, ‘আমরা বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছি, এ নীতিমালার সবচেয়ে বেশি বিরোধিতা করছেন শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান। তার কারণেই শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ অন্যান্য সব সমিতি কর্তৃক প্রণয়নকৃত নীতিমালা মেনে নিতে পারছেন না।

এসব অভিযোগের পাশাপাশি জায়েদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগও আনেন চলচ্চিত্র পরিবারের নেতারা।

এদিকে বয়কটের বিষয়ে জায়েদ খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে সেসব সত্য নয়। আমি যা কিছু করেছি শিল্পী সমিতির কার্যকরী কমিটির মিটিংয়ের মাধ্যমে শিল্পীদের স্বার্থে করেছি। আর এসব বিষয় নিয়ে শিগগিরই সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানাব।’

অন্যদিকে শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগরকে ঠিক কী কারণে কিংবা কবে থেকে বয়কট করা হয়েছে সেটার কোনো স্পষ্ট তথ্য দিতে পারেনি চলচ্চিত্র পরিবার। তবে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার ও প্রযোজক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু জানান, মিশা আগে থেকেই নানা কারণে বহিষ্কৃত অবস্থায় আছেন। যদিও মিশা সওদাগর নিয়মিতই চলচ্চিত্র বিষয়ক কাজ করে যাচ্ছেন।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.