চীনে কার্যকারিতা বাড়াতে টিকার মিশ্রণ তৈরির পরিকল্পনা

এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী চীনের করোনা টিকাগুলো ফাইজার ও মডার্নার উৎপাদিত টিকার চেয়ে কম কার্যকর। কিন্তু চীনা টিকাগুলো অপেক্ষাকৃত কম ঠাণ্ডায় সংরক্ষণ করা যায়।

শনিবার (১১ এপ্রিল) চেংদুতে এক সংবাদ সম্মেলনে চাইনিজ সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিএডিসিপি) ডিরেক্টর গাও ফু দাবি করেন, এখন পর্যন্ত আসা টিকাগুলো উচ্চমাত্রার প্রতিরোধ সক্ষমতা নেই।

তিনি বলেন, ‘তাই বিভিন্ন প্রযুক্তিতে উৎপাদিত একাধিক টিকার সমন্বয়ে সুরক্ষা প্রদানের কথা ভাবা হচ্ছে।’

গাওয়ের মতে, ডোজের সংখ্যা পরিবর্তন এবং মধ্যবর্তী সময় কার্যকারিতা বাড়ানোর একটি ‘যথার্থ’ সমাধান।

জনগণকে দেয়ার জন্য এখন পর্যন্ত চারটি টিকা উদ্ভাবন করেছে চীন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলতি বছরের শেষ নাগাদ এগুলোর প্রায় ৩০০ কোটি ডোজ উৎপাদন করবে দেশটি।

ব্রাজিলে পরীক্ষামূলক প্রয়োগে দেখা গেছে, চীনা কোম্পানি সিনোভ্যাক উৎপাদিত করোনা টিকার কার্যকারিতা ৫০ শতাংশের চেয়ে সামান্য বেশি। কিন্তু তুরস্কের এক ভিন্ন সমীক্ষা বলছে ভিন্ন কথা। সেখানে টিকাটি ৮৩.৫ শতাংশ কার্যকারিতা দেখিয়েছে।

আরেক চীনা প্রতিষ্ঠান সিনোফার্মের টিকার বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি। তবে অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা-নিরীক্ষার বরাতে প্রতিষ্ঠানটির দাবি, তাদের উৎপাদিত দুটি টিকা যথাক্রমে ৭৯.৪ শতাংশ এবং ৭২.৫ শতাংশ কার্যকর।

ইতোমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লাখ লাখ ডোজ করোনা টিকা পাঠিয়েছে চীন। চীনা কর্তৃপক্ষ এবং সরকারি গণমাধ্যমের দাবি, এই টিকা নিরাপদ এবং কার্যকর।

গাও বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী টিকার কার্যকারিতার উচ্চ এবং নিম্ন দুই ধরনের তথ্যই পাওয়া গেছে।’

সেজন্যই টিকাগুলোর মিশ্রণ তৈরির প্রস্তাব দেয়া হয়েছে উল্লেখ তিনি বলেন, ‘কীভাবে টিকার কার্যকারিতা বাড়ানো যায় তা নিয়ে বিশ্বের বিজ্ঞানীদের ভাবা উচিত।’

চীনা টিকাগুলো অপেক্ষাকৃত কম কার্যকর, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত এ ধরনের প্রতিবেদনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটি পুরোপুরি ভুল বোঝাবুঝি।’

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.