করোনা মোকাবেলায় সুইডিশ রাজকন্যা হাসপাতালে!

করোনা ভাইরাসের কবলে পড়ে কঠিন সংকটের মধ্যে গোটা বিশ্ব। প্রতিদিন দেশে-বিদেশে হাজার হাজার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন, মারাও যাচ্ছেন বেশুমার।

‘দেশের মানুষের জন্য জীবন বিলিয়ে দিতে কখনো পেছপা হবো না’ কিংবা ‘করোনা মোকাবেলায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে’ প্রতিনিয়ত এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে মুখ বেয়ে লালা ঝরানো, লোক হাসানো; অনেক দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, মন্ত্রী, সংসদ সদস্যদের যখন জনগণের মাঝে অণুবীক্ষণ দিয়েও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না ঠিক তখনি মানুষের সেবায় বিলাসবহুল রাজপ্রাসাদ ছেড়ে হাসপাতালে কাজ করতে নেমে আসলেন এক রাজকন্যা।

নাম তার সোফিয়া। সুইডেনের রাজকন্যা সোফিয়া। করোনায় মানুষের ভোগান্তি দেখে রাজপ্রাসাদে চুপ করে বসে থাকতে পারেননি তিনি। কীভাবে স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশে এই দুঃসময়ে দাঁড়াবেন তার চেষ্টা করছিলেন। যেভাবেই হোক এই মহামারীকে তিনি যে রুখতে চান।

যেই কথা, সেই কাজ। ৩৫ বছর বয়সী সোফিয়া চটজলদি তিন দিনের একটি অনলাইন কোর্স করে ফেলেন। যেখানে মূলত কীভাবে ‘ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট’ এ করোনা রোগীদের দেখাশোনা করবেন তার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এই প্রশিক্ষণের পরই তিনি স্বেচ্চাসেবক হিসেবে রাজধানী স্টকহোমের সোফিয়ামেট হাসপাতালে কাজ শুরু করেন। তবে সোফিয়া সরাসরি করোনা রোগীদের সংস্পর্শে আসবেন না। হেলথকেয়ার সহযোগী হিসেবেই তিনি কাজ করবেন। চিকিৎসক এবং নার্সদের উপর যতটা সম্ভব চাপ কমানো যায় সেটা তিনি দেখবেন।

সব ঠিকঠাক পরিষ্কার করা হচ্ছে কিনা তা দেখা, রান্না করা, চিকিৎসার সরঞ্জাম জীবাণুমুক্ত করা ইত্যাদির দায়িত্ব নিয়েছেন সোফিয়া।

উল্লেখ্য দেশের স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর অতিরিক্ত দায়ভার এসে পড়ছে তা বুঝতে পেরেই তিনি তাদের সঙ্গে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন।

জরুরি অবস্থায় চিকিৎসক , নার্সদের সাহায্য করার জন্য ৮০ জনকে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে ওই হাসপাতালের পক্ষ থেকে। যারা কেউই চিকিৎসা বিজ্ঞান পড়ে আসেননি।

আর সোফিয়া একসময় নামকরা মডেল ছিলেন। পরবর্তীতে প্রিন্স কার্ল ফিলিপের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.