করোনা চিকিৎসায় ফের সাফল্য আইভারে

করোনা চিকিৎসায় কার্যকরী অ্যান্টিপ্যারাসাইটিক ওষুধ আইভারমেকটিন গবেষণায় আবারও আশাব্যঞ্জক ফল পাওয়া গেছে। দেশের বাইরেও করোনা চিকিৎসায় আইভারমেকটিন প্রয়োগে সাফল্যের খবর এসেছে।

১৫ ডিসেম্বরের ইউরোপের জার্নাল অব মেডিক্যাল অ্যান্ড হেলথ সায়েন্স থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে করোনা গবেষণায় আইভারমেকটিনের সাফল্যের খবর জানানো হয়। বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ ও সম্মান ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যৌথভাবে গবেষণাটি করা হয়। বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ও মেডিক্যাল বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. তারেক আলমের নেতৃত্বে এবং সহগবেষক হিসেবে সম্মান ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ডা. রুবাইয়ুল মোরশেদ গবেষণা দলটির নেতৃত্ব দেন।

করোনা আক্রান্ত রোগীদের সেবা দেন এমন ১১৮ স্বাস্থ্যকর্মীর ওপর গবেষণাটি চালানো হয়। তাঁদের মধ্যে ৫৮ স্বাস্থ্যকর্মীর শরীরে ১২ মিলিগ্রাম আইভারমেকটিনের ডোজ মাসে একবার করে দেওয়া হয়। টানা চার মাস তাঁদের এ ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। বাকি ৬০ জনকে কোনো ওষুধ দেওয়া হয়নি। গবেষণা শেষে দেখা যায়, যে ৬০ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে আইভারমেকটিন দেওয়া হয়নি তাঁদের মধ্যে ৪৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এবং যে ৫৮ জনকে প্রতি মাসে আইভারমেকটিন দেওয়া হয়েছিল তাঁদের মধ্যে মাত্র চারজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

এর আগে মে মাসে অধ্যাপক ডা. তারেক আলম ও অধ্যাপক ডা. রুবাইয়ুল মোরশেদ কালের কণ্ঠকে আইভারমেকটিন গবেষণার অগ্রগতি ও সাফল্য সম্পর্কে জানান। তাঁরা আইভারমেকটিনের সিঙ্গল ডোজের সঙ্গে অ্যান্টিবায়োটিক ডক্সিসাইক্লিন প্রয়োগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের মাত্র তিন দিনে ৫০ শতাংশ লক্ষণ কমে যাওয়া এবং চার দিনে করোনাভাইরাস টেস্টের রেজাল্ট নেগেটিভ আসার বিস্ময়কর সাফল্য সম্পর্কে বলেন।

১৭ জুন থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল এবং মুগদা জেনারেল হাসপাতালে আইভারমেকটিন ওষুধ নিয়ে গবেষণা চালায় আইসিডিডিআরবি। গবেষণা শেষে গত ৭ ডিসেম্বর আশাব্যঞ্জক ফল পাওয়ার কথা জানায় প্রতিষ্ঠানটি। রোগীদের আইভারমেকটিন প্রয়োগের পর আরটি-পিসিআর টেস্টে তারা কভিড-১৯ নেগেটিভ হয়েছে বলেও জানানো হয়।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.