এবার জনসম্মুখে মাস্ক পরার পরামর্শ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

মুখে মাস্ক পরার ক্ষেত্রে নতুন পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটি বলছে, করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে জনসম্মুখে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। মাস্ক পরেই বাইরে চলাচল করতে হবে। এর আগে সুস্থ মানুষের মাস্ক না পরলেও চলবে বলে পরামর্শ দিয়েছিল সংস্থাটি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, নতুন তথ্যে দেখা গেছে, ফেস মাস্ক ‘সম্ভাব্য সংক্রামক ড্রপলেটের’ জন্য বাঁধা হিসেবে কাজ করতে পারে। যেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হয় না, যেমন গণপরিবহন, বিপণিকেন্দ্র, শরণার্থী শিবিরের মতো জায়গা- এসব ক্ষেত্রে কাপড়ের মাস্ক দিয়ে অবশ্যই মুখ ঢাকতে হবে, যাতে সংক্রমণের বিস্তার না ঘটে। যাদের বয়স ষাটের বেশি কিংবা স্বাস্থ্য ঝুঁকি আছে, তাদের সুরক্ষার জন্য মেডিকেল গ্রেড মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। খবর বিবিসির

অবশ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এ পরামর্শের আগেই বেশির ভাগ দেশ জনসম্মুখে নাগরিকদের চলাচলের ক্ষেত্রে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছে।

এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যুক্তি দিয়েছিল, সুস্থ মানুষের মাস্ক পরতে হবে, এমন পর্যাপ্ত প্রমাণ নেই। সেই পরামর্শ থেকে সরে এসে এখন ডব্লিউএইচওর করোনাবিষয়ক প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ড. মারিয়া ভ্যান কেরখোভ বলেন, ‘আমরা সরকারগুলোকে সাধারণ মানুষকে মাস্ক পরার বিষয়ে উৎসাহী করার পরামর্শ দিচ্ছি।’ তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষের জন্য পরামর্শ হলো ফেব্রিক মাস্ক বা কাপড়ের মাস্ক অর্থাৎ একটি নন-মেডিকেল মাস্ক পরতে হবে।’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অবশ্য সব সময় পরামর্শ দিয়ে আসছে যে, মেডিকেল ফেস মাস্ক অসুস্থ মানুষ এবং তাদের সেবাযত্মে নিয়োজিত লোকদের পরা উচিত।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করেছে, করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে ব্যবহার করা যেতে পারে, এমন সরঞ্জামের মধ্যে মাস্ক একটি। এটি যেন মিথ্যা সুরক্ষাকবচের ধারণা তৈরি না করে।

এ ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ট্রেডোস অ্যাডহানোম গেব্রেইয়েসাস বলেন, ‘মাস্ক নিজেই আপনাকে কোভিড-১৯ থেকে রক্ষা করবে না। এটি কেবল সংক্রমণ ঝুঁকি কমাতে পারে’।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.