ইসরাইলি বর্বর হামলায় গাজায় ৬১ শিশুসহ ২১২ জন নিহত

গাজা ও পশ্চিম তীরে ইসরাইলি বর্বর হামলার এক সপ্তাহ পেরিয়েছে। এই সময়ে ইসরাইলের বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২১২ জনে দাঁড়িয়েছে। একই সময় আহত হয়েছেন অন্তত ১ হাজার ৫০০ জন ফিলিস্তিনি। খবর বিবিসির।

ইসরাইলি হামলায় নিহত ২১২ জনের মধ্যে ৬১ জনই শিশু। আর হামাসের হামলায় ১০ ইসরাইলি নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুই শিশু রয়েছে। ইসরাইল দাবি করেছে, তাদের হামলায় যারা নিহত হয়েছেন তাদের বেশিরভাগই জঙ্গি।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহতদের মধ্যে ৬১ শিশু ও ৩৬ জন নারী রয়েছেন।

এদিকে ইসরাইলি সেনা বাহিনীর এক টুইট বার্তায় বলা হয়, ইসরাইলের উত্তরাঞ্চল লক্ষ্য করে অন্তত ছয়টি রকেট ছুড়েছে লেবানন। তবে রকেটগুলো লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারেনি। সেগুলো লেবাননের ভূখণ্ডেই বিস্ফোরিত হয়।

গাজায় ইসরাইলের হামলার নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে আনা প্রস্তাব তৃতীয়বারের মতো আটকে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

গাজায় ইসরায়েলের জঙ্গি বিমান থেকে ফেলা বোমায় শিশুসহ বেসামরিক লোকজনের প্রাণহানির মধ্যে এক সপ্তাহের মধ্যে তৃতীয়বার জরুরি বৈঠকে বসেছিল জাতিসংঘ।

সেখানে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে অবিলম্বে অস্ত্রবিরতির আহ্বানসংবলিত একটি যৌথ প্রস্তাব তোলা হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবটি আটকে দেওয়ায় এবারের বৈঠকও নিষ্ফল হয় বলে আল-জাজিরা জানিয়েছে।

এদিকে গাজায় ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে আট দিনের রক্তক্ষয়ী সহিংসতার পর যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি সোমবার ইসরাইল-ফিলিস্তিনের মধ্যে যুদ্ধবিরতির পক্ষে তার সমর্থন ব্যক্ত করেন। মঙ্গলবার বিবিসির খবরে এ তথ্য জানানো হয়।

জো বাইডেন সোমবার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। এই ফোনকলেই তিনি ইসরাইল-ফিলিস্তিনের মধ্যে যুদ্ধবিরতির পক্ষে তার মত দেন। তিনি নেতানিয়াহুকে বলেন, মিসরসহ বেশ কয়েক রাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করছে ইসরাইল-ফিলিস্তিনের মধ্যে সহিংসতা নিরসনের লক্ষ্যে।

ইসরাইল-ফিলিস্তিন সহিংসতা এখন দ্বিতীয় সপ্তাহে। এটি বন্ধের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.