দীর্ঘদিন সফলতার সাথে চাকুরি করার নেপথ্যে…

পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষই বোধ করি চাকুরিজীবী। সফলতার সঙ্গে দীর্ঘদিন চাকুরি করা একটি বিরাট চ্যালেঞ্জের বিষয়। দেখা যায়, দীর্ঘদিন চাকুরির সঙ্গে যুক্ত থাকা বেশিরভাগ মানুষ একটা সময় পর হতাশা প্রকাশ করেন, বিষন্নতায় ভোগেন।

কিন্তু চাকুরি দীর্ঘদিন করতে হবে, এটাইতো স্বাভাবিক বিষয়। তাই না? সুতরাং এই স্বাভাবিক বিষয়গুলোকে নিয়েই চলতে হবে জীবনে। ধাপে ধাপে উন্নতিও করতে হবে।

কিন্তু মনে মনে চাইলেইতো আর উন্নতি লাভ সম্ভব নয়। দীর্ঘদিন ভালোভাবে চাকুরি করতে হলে আপনাকে কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে হবে। এই নিয়মগুলো সবার জন্য সমানভাবে কাজ করবে, সেরকম ভাবার কোনও কারণ নেই। ব্যাক্তি বিশেষে নিয়মের ব্যতিক্রমও হতে পারে। আর সেটা হওয়াই স্বাভাবিক।

চলুন জেনে নিই, দীর্ঘদিন সফলভাবে চাকুরি করার জন্য আপনি কি কি করতে পারেন:

ইতিবাচক থাকুনঃ

আপনার চাকুরি যে সবসময় মনের মতো হবে এমনটা নয়। তাই দেখা যায়, বেশিরভাগ চাকুরিজীবীর একধরনের মানষিক অস্বস্তি থাকে। এছাড়া প্রতিদিনের ‘রুটিন ওয়ার্ক’ও একঘেয়ে হয়ে যেতে পারে। একঘেয়ে কাজ দীর্ঘদিন করতে কারোই ভালোলাগার কথা নয়।


এসব বিষয় থেকে মুক্ত থাকতে ইতিবাচক মানসিকতা ধারণ করতে হবে। সবকিছুতে ইতিবাচক থাকুন। যে কাজটি করছেন সেখান থেকে আনন্দ খুঁজে নিতে শিখুন। যে পদ্ধতিতে নিজের শান্তি খুঁজে পাবেন, সেটি প্রতিদিন ব্যবহার করুন। নির্দিষ্ট সময় পর পর নতুন পদ্ধতি খুঁজে নিন।

প্রতিদিন শিখুনঃ

আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে একটি বিষয় স্পষ্ট যে চাকুরিজীবীরা নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করেনা, সেটা প্রযুক্তিগত কিছু হোক বা কাজ করার নতুন কোন ‘থিওরি’ই হোক। নেতিবাচক মানসিকতা থেকে বের হয়ে আসুন।


নিজের কাজকে সহজ করার জন্য প্রতিদিন কিছু একটা শেখার চেষ্টা করুন। এর জন্য আপনি কাজের ফাঁকে নিজের চাকুরি বিষয়ে কিছু একটা করার তথা শেখার চেষ্টা করুন। ‘গুগল’ এ খুঁজলেই করার জন্য আপনি কিছুনা কিছু পেয়ে যাবেন সেগুলো পড়তে থাকুন।

আর কারিগরি দক্ষতা বাড়ানোর জন্য বর্তমান সময়ের বিভিন্ন প্রযুক্তি বিষয়ে খোঁজখবর রাখুন। খুঁজে দেখুন আপনার কাজের ধরন অনুসারে কোন প্রযুক্তি আপনাকে সহায়তা করতে পারে। সেগুলো শিখে নিন দ্রুত। যত বেশি শিখবেন ততই বৈচিত্র্যপূর্ণভাবে আপনি আপনার কাজ করতে পারবেন।

নিজের ভালো চর্চাগুলো বজায় রাখুনঃ

প্রত্যেক মানুষ তাঁর নিজের মতো করে সৃষ্টিশীল। চাকুরি শুরু করার আগে আপনি সৃষ্টিশীল যা করতেন, চাকুরির ফাঁকে ফাঁকে সেগুলোর চর্চা অব্যাহত রাখুন। হতে পারে আপনি গিটার, বাঁশি বা অন্য কোন বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পারেন, তাহলে অবসরে সেগুলো বাজান। গান করতে পারলে অবসরে গান করুন। লেখালেখি করতে পারলে তাঁর চর্চা করুন। অবসর সময় খুঁজে বের করুন।


নিলুফার আলম পপি
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং প্রতিষ্ঠাতা,
এক্টিভ কমিউনিকেশন।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.