মেলায় নিত্যনতুন প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ থাকবে

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, জনসচেতনতা সৃষ্টি, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যবান্ধব পরিবেশ তৈরি, তরুণদের অংশগ্র্রহণ বাড়ানো, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পথ ও উদ্যোক্তা তৈরি করতে সহায়ক হবে ‘ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো ২০২১’। সেই সাথে আয়োজনে থাকছে নিত্যনতুন প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ।

তিনি বলেন, করোনা মহামারীর কারণে এবারের প্রদর্শনী সীমিত পরিসরে করা হচ্ছে। ফিজিক্যাল ও ভার্চুয়াল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে এবারের ‘ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো-২০২১’ এর মূল প্রদর্শনীর আয়োজন করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে যে-কেউ বাসায় বসেই মেলার স্টল ভিজিট করতে পারবেন।

বুধবার (২৪ মার্চ) আইসিটি টাওয়ারের বিসিসি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো ২০২১ আয়োজন নিয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়াল মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে এসব তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী।

পলক বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ কোনো স্বপ্ন নয়, বরং বাস্তবতা। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা আমরা সবাই ভোগ করছি। প্রতিনিয়ত প্রযুক্তির পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেদের সমৃদ্ধ করে আমরাও উন্নতির মহাসড়কে অগ্রসরমান।

এবারের ‘ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো-২০২১’ এর স্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে, ‘মেইক হেয়ার, সেল এভরিহোয়্যার’।

প্রদর্শনীর বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপোতে শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তি জ্ঞানকে বাড়িয়ে নেয়ার জন্য নানা ওয়ার্কশপ/সেমিনারের আয়োজন করা হবে। থাকবে নিত্যনতুন প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ। ‘মেইক হেয়ার, সেল এভরিহোয়্যার’ স্লোগানে এবারের প্রদর্শনীতে দেশীয় প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো তৈরি পণ্য ভার্চুয়ালি প্রদর্শন করা হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে প্রযুক্তিতে সক্ষমতা অর্জনে এখনকার তরুণরাই হবে ভবিষ্যত অগ্রদুত। উন্নয়নশীল দেশ থেকে আমরা নিজেদের উন্নত দেশের বাসিন্দা হিসেবে শিগগিরই দাবি করতে পারবো বলে আমরা আশাবাদী।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, দেশে সহজ ও বিনিয়োগ সহায়ক পলিসি নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি তৈরি হচ্ছে বিনিয়োগ অবকাঠামো। ফলে বিনিয়োগকারীগণ প্রণোদনা সুবিধা পাওয়ার সাথে সাথে সারাদেশে হাই-টেক পার্ক, সফটওয়ার টেকনোলজি পার্ক, আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারে বিনিয়োগ করার সুবিধা পাচ্ছেন। সরকার একই সাথে এ সকল উদ্যোগের প্রচারের মাধ্যমে দেশ এবং বর্হিবিশ্বে বাংলাদেশের সক্ষমতা তুলে ধরার মাধ্যমে দেশের উজ্জ্বল ভাবমূর্তি তুলে ধরার জন্যও সচেষ্ট রয়েছে। ‘ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো-২০২১’ তেমনি একটি উদ্যোগ।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের অডিটোরিয়ামে আগামী ১ এপ্রিল থেকে তিন দিনব্যাপি এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। শেষ হবে ৩ এপ্রিল। ​দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই আসরটি যৌথভাবে আয়োজন করছে আইসিটি বিভাগ, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস)। ১ এপ্রিল প্রধান অতিথি হিসেবে এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

বিসিএস সভাপতি মো. শাহিদ-উল-মুনীর, মেলা আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক সাব্বির রহমান বাবু, আইডিয়া প্রকল্পের উপ-পরিচালক কাজী হোসনে আরা, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম (সচিব)এনডিসি, এটুআই জয়েন্ট ডিরেক্টর সেলিনা পারভিন এবং স্টার্টআপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক টিনা জাবিন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

সংবাদ সম্মেলনে আইসিটি বিভাগ, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এবং বিসিএস-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.