‘তোর মতো কত ক্রিকেটার এলো-গেলো, মিথ্যা বলিস না’

মাঠে যে কোনো পরিস্থিতিতে মাথা ঠাণ্ডা রাখতে পারেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। শীতল মস্তিষ্কে গুরুত্বপূর্ণ কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে সিদ্ধহস্ত তিনি। তাই তাকে বলা হয় ক্যাপ্টেনকুল।

কদাচিৎ মুণ্ড গরম করেন ধোনি। তার হিমশীতল অভিব্যক্তি দেখে বোঝার উপায় নেই, তিনি রাগ করেন। শুধু তাই নয়, দলের ক্রিকেটারদের ধমকও দেন মাহি। অবশেষে সেই তথ্য ফাঁস করলেন ভারতের তারকা পেসার মোহাম্মদ শামি।

পশ্চিমবঙ্গের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেন শামি। দলটিতে দীর্ঘদিনের সতীর্থ মনোজ তিওয়ারির সঙ্গে ইনস্টাগ্রাম লাইভে কথা বলার সময় এ বিস্ফোরণ ঘটান তিনি। ডানহাতি পেসার বলেন, একটা বাউন্সারের জন্য ধোনি আমাকে একবার বলেন, আর যাই হোক, আমাকে বোকা বানানোর চেষ্টা করিস না।

শামি জানান, ক্রিকেটাররা পরিকল্পনা থেকে সরে গেলে ক্যাপ্টেন হিসেবে ধোনি কখনই চিৎকার করে কিংবা হাত নেড়ে নিজের বিরক্তি প্রকাশ করেন না। বরং তার ধমকানোর পদ্ধতিটাও সম্পূর্ণ ভিন্ন। ২০১৪ সালে নিউজিল্যান্ড সফরে এক ম্যাচে ট্রিপল সেঞ্চুরি করেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। সেই খেলায় সর্বকালের সেরা ভারতীয় অধিনায়কের উগ্র মেজাজ টের পান তিনি।

টিম ইন্ডিয়ার স্পিডস্টার বলেন, আগের দিন আমার বলে ম্যাককালামের ক্যাচ ছাড়ে বিরাট। ওই সময় মাত্র ১৪ রানে ব্যাট করে সে। পরের দিন লাঞ্চের আগের ওভারে আরেকটি ক্যাচ মিস করি আমরা। বিরক্তির সঙ্গেই শেষ বলটা বাউন্সার দিয়ে বসি আমি। সেটি ধোনি ভাইয়ের মাথার ওপর দিয়ে বাউন্ডারিতে চলে যায়। ড্রেসিংরুমে ফেরার সময় উনি আমাকে বলেন, ক্যাচ পড়লে হতাশা আসে। তবে এর মানে এই নয় যে, শেষ বলটা খারাপ করতে হবে। ওটা ভালো করা উচিত ছিল। আমি অজুহাত দিয়ে বলি, সেটি হাত থেকে পিছলে যায়।

শামির ভাষ্যমতে, প্রতিত্তুরে ধোনি বলেন, দেখ; আমার সামনে অনেক ক্রিকেটার এসেছে, খেলেছে আবার চলেও গেছে। মিথ্যা বলিস না। ভুলে যাস না আমি শুধু তোর সিনিয়রই নই, ক্যাপ্টেনও। অন্য কাউকে বোকা বানাস, আমাকে নয়। আমাকে মিথ্যা বলে লাভ হবে।

তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.