অভিষেকের ৫০ বছর পর টেস্ট ক্যাপ!

ইংল্যান্ডের হয়ে ঠিক ৫০ বছর আগে টেস্ট খেলেছিলেন অ্যালান জোন্স। ১৯৭০ সালে বিশ্ব একাদশের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের হয়ে টেস্ট অভিষেক হয় তার। টেস্টটি আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পেলেও পরে তা প্রত্যাহার করে নেয় ক্রিকেটের প্রধান সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। ফলে টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া হয়নি জোন্সের। তবে ওই ম্যাচটিকে টেস্ট মর্যাদা না দিলেও, ৮১ বছর বয়সে জোন্সকে টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)।

গতকাল বুধবার অনলাইনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জোন্সকে ইংল্যান্ডের ৬৯৬তম টেস্ট ক্যাপ প্রদান করে ইসিবি। ইংলিশদের পক্ষে গত বছরের ২৯ নভেম্বর টেস্ট অভিষেক হয়েছিলো জক ক্রলির। তিনি ছিলেন ৬৯৫তম টেস্ট খেলোয়াড়। জোন্স হয়ে গেলেন ৬৯৬তম টেস্ট ক্রিকেটার। জোন্সকে টেস্ট ক্যাপ দেয়ার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইসিবির চেয়ারম্যান কলিন গ্রেভস, টেস্ট দলের অধিনায়ক জো রুট ও কাউন্টিতে জোন্সের সতীর্থ সাবেক অধিনায়ক টনি লুইস।

ইসিবির চেয়ারম্যান গ্রেভস বলেন, ‘মাঠ ও মাঠের বাইরে অ্যালানের যা অর্জন, সেটা উদযাপন করার মতো। ইংল্যান্ডের হয়ে তার অভিষেক হওয়ার ৫০ বছর পূর্তিকে স্মরণীয় করে রাখতে পেরে আমরা উচ্ছ্বসিত। রেকর্ড বই হয়তো অ্যালানকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার হিসেবে দেখাচ্ছে না। কিন্তু ইসিবি চায় তার ইংল্যান্ডের হয়ে খেলাকে স্বীকৃতি দিতে এবং খেলোয়াড়, কোচ, প্রশাসক হিসেবে তার দুর্দান্ত ক্যারিয়ারকে মনে রাখতে। তাই আমরা তাকে ৬৯৬ নম্বর ইংল্যান্ড ক্যাপ দিয়ে সম্মানিত করেছি।’

নতুন ক্যাপ মাথায় পড়ে কাউন্টিতে গ্লামোরগানের হয়ে খেলা জোন্স বলেন, ‘আমি ফিট আছি এখনো। এখন শুধু হেলমেটের অপেক্ষা। লর্ডসের মাঠে দেশের প্রতিনিধিত্ব করা ছিল বিশেষ স্মৃতি। মনে রাখার মতো স্মৃতি। তবে যখন ম্যাচগুলোকে টেস্ট মর্যাদা দেওয়া হয়নি, তখন নিজেদের পুরোপুরিভাবে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার মনে হয়নি। এখন মনে হচ্ছে আমি ইংল্যান্ডের টেস্ট খেলোয়াড়।’

ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্টের দুই ইনিংসে যথাক্রমে ০ ও ৫ রান করেছিলেন জোন্স। এরপর আর জাতীয় দলের আর খেলতে পারেননি তিনি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৬৪৫ ম্যাচে ৫৬টি সেঞ্চুরি ও ১৯৪টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ৩৬, ০৪৯ রান করেছেন জোন্স। ব্যাটিং গড়- ৩২ দশমিক ৮৯। ১৯৬৯ সালে গ্লামোরগানের শিরোপাজয়ী দলের সদস্যও ছিলেন জোন্স। ১৯৭৮ সালে উইজডেনের সেরা পাঁচ ক্রিকেটারের মধ্যেও জায়গা করে নিয়েছিলেন জোন্স।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.