শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি, দুই দিন চূড়ান্ত হচ্ছে

২০২১ সালে নতুন কারিকুলামে কর্মঘণ্টা কমবেশি করে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের স্কুল এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কলেজে সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে ২০২১ শিক্ষাবর্ষের ছুটির খসড়া তালিকা চূড়ান্ত করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। প্রস্তাবিত তালিকাটি অনুমোদনের জন্য শিগগির মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে। মন্ত্রিসভা এ তালিকা অনুমোদন দিলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে তা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হবে। এ ছুটির ভিত্তিতে অনুমোদিত শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী, আগামী বছরের ক্লাস-ছুটি-পরীক্ষাসহ সকল শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

খসড়া তালিকা অনুযায়ী, ২০২১ সালে সাধারণ ছুটি ১৪ দিন এবং নির্বাহী আদেশে ছুটি আটদিন। মোট ২২ দিন সাধারণ ও নির্বাহী আদেশের ছুটি হলেও সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে শুক্রবার ও শনিবার। দুই দিনের সাপ্তাহিক ছুটি কার্যকর হবে প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও। বিদ্যমান ব্যবস্থায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি রয়েছে কেবল শুক্রবার।

মন্ত্রিসভার অনুমোদন সাপেক্ষে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এরপরই ২০২১ সালে ক্যালেন্ডার ছাপানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে। বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানও সরকারি ছুটি অনুসরণ করে ক্যালেন্ডার প্রকাশ করবে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, ২০২১ খ্রিস্টাব্দের সরকারি অফিসের ছুটির তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। এটি অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী এতে সম্মতি দিয়েছেন। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী মন্ত্রিসভার বৈঠকে ছুটির তালিকা অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে। সেজন্য এরই মধ্যে তা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বাংলা একাডেমি প্রণীত ১৪২৭-২৮ বঙ্গাব্দের বর্ষপঞ্জি, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন ধর্মীয় পর্বের তালিকা, আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং আরবি প্রত্যেক মাসের ইসলামী পর্বগুলোর তালিকার সঙ্গে সমন্বয় করে ২০২১ সালের ছুটির খসড়া তালিকা প্রণয়ন করেছে।

সেই তালিকা অনুযায়ী, ইসলামী পর্বের শবে বরাত ২৯ মার্চ সোমবার, শবে কদর ১০ মে সোমবার, ঈদুল ফিতর ১৩ মে বৃহস্পতিবার, ঈদুল আজহা ২০ জুলাই মঙ্গলবার, আশুরা ১৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার, ঈদে মিলাদুন্নবী ১৯ অক্টোবর মঙ্গলবার উদযাপন করা হবে।

বিভিন্ন জাতীয় দিবস ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় দিবসের ছুটি সাধারণ ছুটির অন্তর্ভুক্ত। এ ছুটির মধ্যে ছয়টি সাপ্তাহিক ছুটির দিনও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে চারটি শুক্রবার ও দুটি শনিবার। বাংলা নববর্ষ ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় দিবস উপলক্ষে আট দিন নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি থাকবে। নির্বাহী আদেশে ছুটির মধ্যে এক দিন সাপ্তাহিক ছুটি (শনিবার) রয়েছে। সুতরাং সাধারণ ছুটি ও নির্বাহী আদেশের ছুটি ২২ দিন হলেও শুক্র ও শনিবারের (সাপ্তাহিক ছুটি) কারণে এই ছুটি কার্যত ১৫ দিন।

ধর্মীয় পর্ব উপলক্ষে বরাবরের মতোই প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের তিন দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার সুযোগ থাকছে। একইভাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা ও এর বাইরে কর্মরত বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত কর্মচারীদের প্রধান সামাজিক উৎসব উপলক্ষে দু’দিনের ঐচ্ছিক ছুটির বিধানও বহাল থাকছে।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.