×
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত : তারিখ - ২০২৫-০৬-২৫, সময় - ১২:৩১:৩১বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘দেশে বিদেশে সম্মানিত দক্ষ এবং যোগ্য ব্যক্তিত্ব অন্তর্বর্তী সরকার প্রধানের নেতৃত্বে জাতি অবিলম্বে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে অবাধ, নিরপেক্ষ একটি জাতীয় নির্বাচন দেখতে পাবে।’
তারেক রহমান বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার হোক, জনগণকে সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা জারি রাখতে হবে। সরকারের মান-অভিমান বা রাগ-বিরাগের কোনো সুযোগ নেই। এই সরকারের মাধ্যমেই দেশের সবচেয়ে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে পাবে জনগণ।’
রোববার (২৫ মে) রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে তারেক রহমান এসব কথা বলেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধানের সঙ্গে দেখা করে আবারও রাজনৈতিক দলগুলো জাতীয় নির্বাচনের তারিখ, সুস্পষ্ট দিনক্ষণ ঘোষণার দাবি জানিয়েছে। বিএনপির দাবি আগামী ডিসেম্বরের ভেতরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে জনপ্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংস্কারের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি বিএনপিসহ যারা একসঙ্গে রাজপথে আন্দোলন করেছি, আমরা আমাদের সর্বাত্মক সমর্থন অব্যাহত রেখেছি।
তারেক রহমান বলেন, অতীতেও পরাজিত স্বৈরাচারের আমলে রাষ্ট্র এবং রাজনীতি এবং রাজনৈতিক দলগুলো নানা রকম দমন পীড়ন এবং ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হয়েছে। এনসিপিও সেই তালিকা থেকে বাদ যায়নি। দীর্ঘ দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে দেশের জনগণের ওপর চাপিয়ে দেয়া শাসন- শোষণ হটিয়ে আমরা মুক্ত বাংলাদেশ পেয়েছি।
দেশের জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘পতিত স্বৈরাচার যেন আর কোনো রূপে কোনোক্রমেই ফিরতে না পারে, এই সময় সেটিই বাংলাদেশের গণতন্ত্রের পক্ষের প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের লক্ষ্য। দেশে স্বৈরাচার রুখে দিতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন দেশের জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন। জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে সংসদ, সরকার গঠিত হলে অবশ্যই সেটি জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকবে।’
রাষ্ট্রের নাগরিকদের রাষ্ট্র ক্ষমতা নিশ্চিত থাকলে সরকারের ফ্যাসিবাদী চরিত্র ধারণ করা সহজ হয় না উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, ‘সরকারের চরিত্র যেমনই হোক না কোনো সরকারকে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য করা না গেলে ক্ষমতাসীন সরকার নিজের অজান্তেই স্বৈরাচার হয়ে ওঠে। এবং এ কারণেই হুমকি-ধামকি উপেক্ষা করে হলেও সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা জারি রাখতে হবে।’
- বাসস
