×
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত : তারিখ - ২০২৫-০৫-২৮, সময় - ১৩:০৪:৫০একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ফাঁসির দণ্ড থেকে খালাস পেয়ে জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের ‘মহাবিপ্লবী নায়কদের’ পাশাপাশি সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ দিয়েছেন।
বুধবার সকালে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল থেকে মুক্তির পর শাহবাগে জামায়াতের আয়োজন এক সংবর্ধনায় যোগ দেন আজহার। সেখানে তিনি এ কথা বলেন।
২০১৩ সালে এই শাহবাগেই একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলন গড়ে উঠেছিল, আজহারের ফাঁসির দাবিতে স্লোগান উঠেছিল, এক যুগ পর সেই শাহবাগেই আজহারের পক্ষে স্লোগান দেয় জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা।
আজহার বলেন, “আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই, যাদের কারণে আজকে আমি মুক্ত হয়েছি, সেই ৩৬ জুলাই অর্থাৎ ৫ আগস্টের ‘মহাবিপ্লবী নায়কদের’। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের আন্দোলনে ‘ফ্যাসিবাদী’ সরকার পতন হতে বাধ্য হয়েছিল।
“সবচেয়ে ধন্যবাদ জানাব ছাত্র সমাজকে। যারা অতীতের গর্ব প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছেন।”
২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে সেনাবাহিনীর ভূমিকা তুলে ধরে তাদেরও প্রশংসা করেন জামায়াত নেতা। তিনি বলেন, “আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে। যারা জনগণের পক্ষ নেয়ার কারণেই আজকে আমরা এই জায়গায় আসতে সক্ষম হয়েছি।”
আগের দিন আপিল বিভাগ জামায়াত নেতাকে বেকসুর খালাসের আদেশ দেওয়ার পর তার মুক্তির জন্য সংক্ষিপ্ত আদেশ দেয় রাতেই। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে মুক্ত হতে হতে সকাল হয়ে যায়।
শাহবাগের বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালেই ছিলেন জামায়াত নেতা। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তিনি হাসপাতাল থেকে মুক্তি পান। দুইশ গজের পথ পাড়ি দিয়ে শাহবাগের সংবর্ধনায় আসতে আসতে লেগে যায় ১২ মিনিট।
সকাল সাড়ে ৯টা থেকে শাহবাগে সড়ক বন্ধ করে সংবর্ধনার মঞ্চ করে জামায়াত। নেতাকর্মীরা ঢাকা ছাড়াও আসেন বিভিন্ন জেলা থেকে। উল্লসিত নেতাকর্মীদেরকে ঠেলে এগিয়ে যান জামায়াত নেতা।
কর্মদিবসে তাদের মিছিলের কারণে যান চলাচল ব্যাহত হয় ব্যাপকভাবে। মানুষের এই ভোগান্তির কথা জানিয়ে আধা ঘণ্টায় সমাবেশ শেষ করে দেওয়া হয়। তবে এই সমাবেশের রেশ রয়ে যায় পরেও।
