কোরআন ও হাদিসে বিভিন্ন দোয়া বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহর কাছে কোনো কিছু প্রার্থনার সময় এই দোয়াগুলোর মাধ্যমে প্রার্থনা করলে আল্লাহ তায়ালা সহজে কবুল করবেন বলে প্রত্যাশা করা যায়। কোনো ব্যক্তি যদি আরবি বুঝে এবং কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত দোয়াগুলোর একবচনের শব্দগুলো বহুবচন হিসেবে ব্যবহার করে দোয়া করে, যেমন—
কোরআনে বা হাদিসের কোনো দোয়ায় একজন ব্যক্তির জন্য আল্লাহর কাছে জান্নাত প্রার্থনার কথা রয়েছে। কিন্তু অনেককে নিয়ে একসঙ্গে দোয়া করার সময় সেই দোয়াকে অনেকের জন্য জান্নাত প্রার্থনা শব্দ ব্যবহার করা হলো, তবে কি তা ঠিক থাকবে?
আলেমদের মতে, কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত (মাসনূন ও মাসুর) দোয়াগুলোর ক্ষেত্রে ইচ্ছেমতো শব্দ পরিবর্তন করা—অর্থাৎ একটি শব্দের স্থলে আরেকটি শব্দ পড়া কিংবা বাক্যের মধ্যে আগে-পরে করা। যেমন, যে শব্দ পরে আছে সেটাকে আগে আনা, আর যে শব্দ আগে আছে সেটিকে পরে নেওয়া—এগুলো জায়েয নয়।
তবে দোয়ার আগে, মাঝে বা পরে এমন কিছু অতিরিক্ত কথা বাড়ানো, যাতে অর্থের কোনো পরিবর্তন না হয়, অথবা দোয়ার মূল রূপ পরিবর্তন করা, যেমন, একবচন (একজনের পক্ষ থেকে) শব্দকে বহুবচনে বা বহুবচনকে একবচনে রূপান্তর। এসবের সামান্য অনুমতি আছে। তবে উত্তম হলো, এতোটুকু পরিবর্তনও না করা।
কারণ, কোরআন ও হাদিসে যে দোয়াগুলো যেভাবে এবং যে রূপে এসেছে, তাতে বিশেষ প্রভাব ও বৈশিষ্ট্য রয়েছে। শব্দ পরিবর্তন করলে দোয়াটি আর ‘দোয়ায়ে মাসুর’ বা ‘ যেভাবে বর্ণিত হয়েছে সেভাবে থাকবে না।
গবেষক আলেমদের মতে, মাসনূন দোয়া ও জিকিরের শব্দগুলো রাসুলুল্লাহ (সা.) যেভাবে শিক্ষা দিয়েছেন, সেভাবেই তা অনুসরণ করতে হবে। সুতরাং যদি কেউ অর্থ পরিবর্তন না করে এক বচন বহুবচন শব্দে পরিবর্তন করে, তাহলে দোয়া হিসেবে তা বৈধ হবে বটে, কিন্তু তাকে আর ‘দোয়ায়ে মাসুর’ (যেভাবে বর্ণিত হয়েছে কোরআন বা হাদিসে) বলা যাবে না।
এ জাতীয় আরো খবর..