×

  • নিউজ ডেস্ক

    প্রকাশিত : তারিখ - ২০২৫-০৭-১৯, সময় - ১৩:০৬:৩৮

ফিলিস্তিনের দক্ষিণ গাজার রাফা শহরে ক্ষুধার্ত বেসামরিক নাগরিকদের ভিড়ে গুলি চালিয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। এতে কমপক্ষে ২৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও ৭০ জনেরও বেশি আহত হন।

শনিবার (১৯ জুলাই) ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, গাজায় মানবিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে থাকায় ফিলিস্তিনিরা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল-সমর্থিত ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের কাছে খাদ্যের সন্ধানে জড়ো হয়েছিল। সেখানে ইসরাইলি সেনাবাহিনী জনতার ওপর গুলি চালায়। যার ফলে বিপুল সংখ্যক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)-এর সঙ্গে সম্পর্কিত স্থানগুলোতে মানবিক সহায়তা নিতে গিয়ে প্রায় ৯০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় অভিযান শুরু করে আইডিএফ। মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরাইলি বাহিনীর অভিযানে গাজায় নিহতের সংখ্যা ৫৮ হাজার ছাড়িয়েছে। এদের পাশাপাশি আহত হয়েছেন প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার ফিলিস্তিনি।

যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান ইসরাইলের, দীর্ঘ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হামাস
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলি ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায় হামাসের যোদ্ধারা। এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যার পাশাপাশি ২৫১ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় তারা।

হামাসের সেই হামলার জবাব দিতে এবং জিম্মিদের মুক্ত করতে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে টানা অভিযান চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারী অন্যান্য দেশগুলোর চাপে বাধ্য হয়ে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ইসরাইল।

কিন্তু বিরতির দু’মাস শেষ হওয়ার আগেই গত ১৮ মার্চ থেকে ফের গাজায় অভিযান শুরু করে আইডিএফ। দ্বিতীয় দফার এ অভিযানে গত আড়াই মাসে গাজায় নিহত হয়েছেন ৭ হাজার ৮৪৩ জন ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন আরও প্রায় ২৭ হাজার ৯৯৩ জন।

যে ২৫১ জন জিম্মিকে হামাসের যোদ্ধারা ধরে নিয়ে গিয়েছিল, তাদের মধ্যে অন্তত ৩৫ জন এখনও জীবিত আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সামরিক অভিযানের মাধ্যমে তাদের উদ্ধার করার ঘোষণা দিয়েছে আইডিএফ।


নিউজটি শেয়ার করুন



এ জাতীয় আরো খবর..
ইউটিউবে আমরা...
ফেসবুকে আমরা...