×
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত : তারিখ - ২০২৫-০৩-১১, সময় - ০৭:২৬:০২এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাজারে আসছে না টাকার নতুন নোট। তাই মতিঝিল ও গুলিস্তানের নতুন টাকার বাজার চড়া। ২, ৫, ১০, ২০ টাকাসহ সব ধরনের নতুন নোট কিনলে আগের চেয়ে বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। এবারের ঈদে নতুন নোট বাজারে না ছাড়ার সিদ্ধান্তে এমন প্রভাব পড়েছে।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) মতিঝিল ও গুলিস্তানের নতুন টাকার অস্থায়ী দোকানগুলো ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি বান্ডিলে গতবারের ঈদের মৌসুমের চেয়ে ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ১০ ও ২০ টাকার নতুন নোটের চাহিদাই বেশি।
ঈদ সামনে রেখে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিবছরই নতুন নোট বাজারে ছাড়ে। এ সময় নতুন পোশাকের পাশাপাশি নতুন টাকাও সংগ্রহ করেন অনেকে।
এবার ভিন্ন পরিস্থিতিতে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জনসাধারণের মধ্যে নতুন নোট বিনিময় সোমবার (১০ মার্চ) স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, টাকায় শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকায় বাধে আপত্তি।
ঈদকে কেন্দ্র করে নতুন নোটের চাহিদা বাড়ে। রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে, গুলিস্তানসহ বিভিন্ন স্থানে নতুন নোট ও ছেঁড়া টাকার বেচাকেনার অস্থায়ী দোকান আছে। মূলত ফুটপাতেই এ ব্যবসা বেশি চলে।
মঙ্গলবার সকালে মতিঝিল ও গুলিস্তান ঘুরে দেখা গেছে, মৌসুমি ব্যবসায়ীরা নতুন নোটের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। একের পর এক ক্রেতাও আসছেন। তবে চড়া দাম শুনে দরদাম না করেই অনেকে চলে যাচ্ছেন। বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত বছরের তুলনায় নতুন নোটের দাম প্রতি বান্ডিলে ১০০ থেকে ২০০ থেকে টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এবারের ঈদে নতুন নোট বাজারে আসবে না—এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই এই মৌসুমি ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁরা মূলত ছেঁড়া ও পুরোনো টাকার ব্যবসায়ী।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ১০ টাকার এক বান্ডিল নতুন নোট বিক্রির জন্য ১ হাজার ৪৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা হাঁকছেন। এক বান্ডিলে ১০০টি নোট থাকে এবং এর মূল্যমান ১ হাজার টাকা। দর-কষাকষি করে ২০ থেকে ৩০ টাকা কমে একেকটি বান্ডিল ক্রেতারা কিনছেন। গত বছর পবিত্র রোজার সময় এমন এক বান্ডিল নতুন নোট বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ২০০ টাকায়। অর্থাৎ নতুন নোটের বান্ডিলপ্রতি ক্রেতাদের বাড়তি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা খরচ করতে হচ্ছে, যা গত বছর পবিত্র রোজার সময় ছিল ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। একইভাবে ২০ টাকার এক বান্ডিলেও গুনতে হচ্ছে বাড়তি ৪৫০ টাকার কমবেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে বটতলায় কথা হলো বেসরকারি চাকরিজীবী নুরুল আমিনের সঙ্গে। চার বছর পর পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে গ্রামে যাবেন। তাই বাংলাদেশ ব্যাংক কার্যালয়ে নতুন টাকা সংগ্রহ করতে এসেছেন। সেখানে না পেয়ে তিনি বাংলাদেশে ব্যাংকের গেটের পাশে বসা ভ্রাম্যমাণ নতুন নোটের দোকানে আসেন। তিনি চান ১০ ও ২০ টাকার নতুন নোটের বান্ডিল। তিনি বলেন, ‘ঈদের দিন বাচ্চাদের সালামি দেওয়ার জন্য নতুন নোট কিনতে এসেছি। প্রায় প্রতিবছরই নতুন নোট সংগ্রহ করি। কিন্তু এবার আগের বছরের চেয়ে দাম অনেক বেশি।’
