×
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত : তারিখ - ২০২৫-০৬-২৭, সময় - ১৪:০৭:৪১ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার জন্য খুঁজেছিল ইসরায়েলি কর্মীরা। তবে তার ওপর আক্রমণের কার্যকর সুযোগ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ।
শুক্রবার (২৭ জুন) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।
এর আগে ইসরায়েলের সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম কানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কাটজ বলেছেন, যদি সম্ভব হতো তাহলে সেনাবাহিনী তেহরানের সঙ্গে ১২ দিনের সংঘাতে খামেনিকে হত্যা করতো।
সাক্ষাৎকারে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়- খামেনিকে হত্যার জন্য এমন একটি হামলা চালাতে কি যুক্তরাষ্ট্রের অনুমতির প্রয়োজন ছিল? এর জবাবে কাটজ বলেন, এসব ক্ষেত্রে আমাদের যুক্তরাষ্ট্রের অনুমতির প্রয়োজন হয় না।
এদিকে ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা এবং ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির পর প্রথম ভিডিও বার্তা দিয়েছেন খামেনি। ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভিতে সম্প্রচারিত এক ভাষণে খামেনি বলেছেন, এই সপ্তাহের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র যে পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা করেছে সেগুলোতে উল্লেখযোগ্য কিছুই ঘটেনি।
ইরানের এই নেতা বলেন, তার দেশ তাদের ঐক্য প্রদর্শন করেছে, তারা এই বার্তা পাঠিয়েছে যে ‘আমাদের জনগণের কণ্ঠস্বর এক’।
খামেনি বলেছেন, ট্রাম্প তার দেশকে ‘আত্মসমর্পণ’ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের মুখের তুলনায় তা খুব বড় মন্তব্য ছিল, বলেন তিনি। খামেনি বলেছেন, ইরানের মতো একটি মহান দেশ ও জাতির জন্য আত্মসমর্পণের কথা বলাই অপমান।
