×

  • নিউজ ডেস্ক

    প্রকাশিত : তারিখ - ২০২৪-১২-০৮, সময় - ১১:৫৮:৩২

সামাজিক নিরাপত্তা ও গ্রামীণ উন্নয়নই তাদের কাজ। অথচ বরাবরই রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হয়েছে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। অভিযোগ রয়েছে, বিগত ৩টি জাতীয় নির্বাচনেই ভোট কারচুপিতে সহায়তা করেছে এই বাহিনী। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নির্বিচারে গুলি ও গণঅভ্যুত্থান শেষে প্রতিবিপ্লবের অভিযোগের তীরও রয়েছে এই বাহিনীর দিকে।

পুলিশের সহায়ক বাহিনী হিসেবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কাজ করছে আনসার সদস্য বিক্রম। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিরাপত্তার পাশাপাশি শৃঙ্খলাও তাদের দায়িত্ব।

তিনি বলেন, ‘ঢাকা মেডিকেলে প্রতিটা ওয়ার্ডে যেখানে রোগীরা থাকে সেখানে নিরাপত্তা দিয়ে থাকি। বাহিরের পার্কিংয়ের শৃঙ্খলা দিয়ে থাকি।’

আর কি কি কাজ করেন তারা?

একজন আনসার সদস্য বলেন, ‘রোগীরা আসলে তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী দিক নির্দেশনা দিয়ে থাকি।’

হাসপাতাল ও রোগীর নিরাপত্তার ভার তাদের উপর হলেও সুযোগ সুবিধা কেমন? নতুন বাংলাদেশে চাওয়া পাওয়াই বা কতটুকু পূরণ হলো?

আরেকজন বলেন, ‘যারা আন্দোলন করেছিল তাদের মধ্যে ডিউটিকে কিছু লোক ফিরে আসছে আর কিছু লোকের কাজ স্থগিত করে রাখা হয়েছে।’

নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার বাহিনীর ইতিহাসের শুরু ১৯৪৮ সাল থেকে। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ সব জায়গায় ছিল আনসারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। অথচ শেষ ১৫ বছরে এই ভূমিকা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। ভোট কেন্দ্রে কারচুপিতে সহায়তা থেকে শুরু করে আন্দোলন দমনে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হয়েছে এই বাহিনী।

২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ এর নির্বাচনে ভোট কারচুপিতে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারকে সহায়তা করার অভিযোগ ছিল এই বাহিনীর বিরুদ্ধে। এছাড়া ভোটকেন্দ্র দখল হচ্ছে দেখেও নিশ্চুপ থাকারও অভিযোগ ছিল তাদের বিরুদ্ধে। সব থেকে বড় অভিযোগ ছাত্র-জনতার আন্দোলন থামাতে গুলি নিক্ষেপ।

নিউজটি শেয়ার করুন



এ জাতীয় আরো খবর..
ইউটিউবে আমরা...
ফেসবুকে আমরা...