×

  • নিউজ ডেস্ক

    প্রকাশিত : তারিখ - ২০২৪-১২-০৯, সময় - ১১:৪৫:৩৭

এক দশকে দেশে নিবন্ধিত করদাতার সংখ্যা যে হারে বেড়েছে, সে হারে রাজস্ব আদায় বাড়েনি। ফলে দেশের কর-জিডিপি অনুপাত অনেক নিচে অবস্থান করছে। এতে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ধারাকেও নিজস্ব সম্পদ-নির্ভর করা যাচ্ছে না। বিদেশি ঋণের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে।

আগের ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল তিন লাখ ৮২ হাজার ৬৭৮ কোটি টাকা। একই সময়ে টিআইএনের সংখ্যা ছিল এক কোটি পাঁচ লাখ। আর এক দশক আগে অর্থাৎ ২০১৪-১৫ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল এক লাখ ৩৫ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। টিআইএন সংখ্যা ছিল ১৬ লাখ ৫১ হাজার। ১০ বছরের ব্যবধানে রাজস্ব আদায় বেড়ে তিনগুণ হয়েছে। অন্যদিকে টিআইএন বেড়ে হয়েছে ছয়গুণ।

তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে টিআইএন ছিল ১৬ লাখ ৫১ হাজার, পাঁচ বছর পর ২০১৮-১৯ অর্থবছর টিআইএন বেড়ে হয় ৪১ লাখ ১৯ হাজার। আর পরের পাঁচ বছরে টিআইএন বেড়ে এক কোটি পাঁচ লাখে পৌঁছে।

রাজস্ব আদায়ের চিত্র পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, টিআইএনের মতো রাজস্ব বাড়েনি। তথ্য অনুযায়ী,২০১৪-১৫ অর্থবছরে রাজস্ব আদায় হয় এক লাখ ৩৫ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। পাঁচ বছরে ২০১৯-২০ অর্থবছরে রাজস্ব বেড়ে দাঁড়ায় দুই লাখ ১৬ হাজা ৪৫১ কোটি টাকা। পরের পাঁচ বছরে বেড়ে সর্বশেষ ২০২৩-২৪ রাজস্ব আদায় দাঁড়ায় তিন কোটি ৮২ লাখ ৬৭৮ হাজার টাকা।

গত এক দশকে সরকারি কাজে সেবা নিতে ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর বা টিআইএন নম্বর বাধ্যতামূলক করা হয়। এতে নিবন্ধিত করদাতার সংখ্যা বাড়ে। এটিকে রাজস্ব বৃদ্ধির কৌশল মনে বলে মনে করে তৎকালীন সরকার। কিন্তু তারপরও রাজস্ব বাড়েনি, বাড়েনি আয়কর আদায়। ফলে যে সব খাতে টিআইএন বাধ্যতামূলক করা হয়, সেসব ক্ষেত্রে আয়কর রিটার্ন বাধ্যতামূলক করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন



এ জাতীয় আরো খবর..
ইউটিউবে আমরা...
ফেসবুকে আমরা...