×
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত : তারিখ - ২০২৪-১২-১৪, সময় - ০৯:০৮:৩৬মনোমুগ্ধকর ডাকাতিয়া নদী কুমিল্লার কৃষি ও সেচ ব্যবস্থার মূল ভিত্তি। তবে কল-কারখানার রাসায়নিক বর্জ্য পানিতে পরে দূষিত হচ্ছে এই নদীর জীবন। বিষাক্ত পানিতে নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি ও মাছের প্রজনন। কৃষকদের দাবি রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) রাসায়নিক বর্জ্য এই পানি নষ্ট করছে। পরিবেশ কর্মীদের মতে খালের পানির উৎস মুখে পরিশোধন না হলে মানুষের জীবন জীবিকা ও জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়বে। তবে ইপিজেড কর্তৃপক্ষের দাবি বর্জ্য পরিশোধনের মাধ্যমে পানি খালে ছাড়া হয়।
জানা গেছে, কুমিল্লা নগরীর বেশিরভাগ খাল দিয়ে প্রবাহিত পানির রং কালো ও ঝাঁঝালো গন্ধযুক্ত। নগরীর এসব খাল ৩টি উপজেলা অতিক্রম করে মিশেছে ডাকাতিয়া নদীতে। একসময় এই খালগুলোতে নৌকা চলত ও মাছ ধরার প্রচলন ছিল। তবে বিষাক্ত এই রাসায়নিক পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ৭৫টি গ্রামের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ।
নগরীর খালগুলো দিয়ে পয়ঃনিষ্কাশনের পানি প্রবাহিত হয়। কুমিল্লা ইপিজেড এর ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হয় একটি খাল। ফলে সাধারণ মানুষের ধারণা বিষাক্ত এই পানি কুমিল্লা ইপিজেড থেকে নিষ্কাশন হয়। এ নিয়ে অভিযোগ রয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও গ্রামবাসীদের।
সিটি করপোরেশনের পয়ঃনিষ্কাশনের পানি দূষণ ছড়ায়নি দাবি করেন কুসিক কর্মকর্তা। পরিবেশ ও মানুষের জীবন জীবিকা রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পরামর্শ বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন।
