×
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত : তারিখ - ২০২৪-১২-১৬, সময় - ০৭:৪২:৩৯প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জাতির উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি নেতারা বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের একটি ধারণা দিয়েছেন; কিন্তু বিএনপি ধারণা নয় সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চেয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়ে নেতারা বলেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ। যতদিন পর্যন্ত নির্বাচিত সরকার আসবে না ততদিন পর্যন্ত এ অবস্থা চলতে থাকবে। তাই আমরা চাই এই সরকার রোডম্যাপ ঘোষণা করুক।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ ও মির্জা আব্বাস এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
প্রধান উপদেষ্টার এই বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে সালাউদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের সময় সম্পর্কে একটা ধারণা দিয়েছেন। কিন্তু তাতে সুস্পষ্ট কোনো রোডম্যাপ নেই। তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় কোন কোন ক্ষেত্রে সংস্কার করা হবে, সে জন্য কতটা সময় প্রয়োজন, তা প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে স্পষ্ট নয়। আমরা আশা করি, তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) সংস্কারের সময় ও নির্বাচনের সময় সুনির্দিষ্ট করে একটি রোডম্যাপ দেবেন।
এছাড়া মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত শেষে সাংবাদিকদেরকে মির্জা আব্বাস বলেন, নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা যে বলেছেন ২০২৫ সালের শেষে কিংবা ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে নির্বাচন হতে পারে এই বক্তব্যকে আমরা স্বাগত জানাই। তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের পর জনগণের চাওয়া একটি সুষ্ঠু নির্বাচন এবং গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা। তাই অতিদ্রুত সংস্কারের কাজ সম্পন্ন করে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে একটি গণতান্ত্রিক সরকার উপহার দিতে হবে।
জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের কাছে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বলেন, নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা যেটা বলেছেন তা যথার্থ। নির্বাচনে যারা অংশগ্রহণ করবেন বা নির্বাচনে যারা অংশীজন তারা যদি নির্বাচন চায় তিনি যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন দেবেন এমন বক্তব্যকে সাধুবাদ জানাই। কিন্তু এই বাইরে কারও অন্যকোনো স্বার্থ থাকতে পারে না। সেইসঙ্গে তার দাবি, সংস্কার এমন একটা বিষয় যা যুগ যুগ ধরে চলে ও চলবে, যা নতুন কিছু না। সংস্কার এটা কোনো প্যাকেট না যে এনে ছেড়ে দিলাম আর হয়ে যাবে। আমরা আশা করি এই সরকার দ্রুত জনগণের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দেবে।
