১৫ হাজার ৭৪৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২টি প্রকল্প অনুমোদন
১৫ হাজার ৭৪৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ১২টি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এই অর্থের মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ১১ হাজার ৬৭৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকা, বৈদেশিক ঋণ থেকে ৪ হাজার ৬৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ১ হাজার ২০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। মঙ্গলবার সভায় শেরে-বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রকল্পগুলো অনুমোদন দেয়া হয়। এতে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী।
সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানান। অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো- রেশম মন্ত্রণালয়ের ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ২০০টি ব্রডগেজ (বিজি) প্যাসেঞ্জার ক্যারের সংগ্রহ’ প্রকল্প, লোকাল গভর্মেন্ট কোভিড-১৯ রেসপন্স অ্যান্ড রিকভারি প্রজেক্ট, উপকূলীয় জেলাগুলোর বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে পানি সরবরাহ প্রকল্প, সার্বজনীন সামাজিক অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প-২ (জিএসআইডিপি-২) প্রকল্প, পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ প্রকল্প (২য় পর্যায়) প্রকল্প, বরিশাল বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়ক প্রশস্তকরণ ও শক্তিশালীকরণ প্রকল্প, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিএএফ ঘাঁটি জহুরুল হক, চট্টগ্রামে বিমানসেনা প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপন (১ম সংশোধিত) প্রকল্প, দি প্রজেক্ট ফর ইমপ্রুভমেন্ট অব গভর্নেন্স অল্ডি ম্যানেজমেন্ট রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং ফ্যাসিলিটিস প্রকল্প, নওগাঁ সড়ক বিভাগধীন ৩টি আঞ্চলিক মহাসড়ক এবং ৩টি জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্প, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য এক্সটার্নাল টেলিযােগাযােগ নেটওয়ার্ক স্থাপন প্রকল্প, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বীজ বর্ধন খামার স্থাপন প্রকল্প, ভূ-গর্ভস্থ সেচনালা বর্ধিতকরণের মাধ্যমে সেচ এলাক ও সেচ দক্ষতা বৃদ্ধি এবং পরীক্ষামূলকভাবে ড্রিপ সেচ পদ্ধতির প্রচলন প্রকল্প।
সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানের সঙ্গে ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম। এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতির সার্বিক অবস্থা সন্তোষজনক। রপ্তানি বেড়েছে, সার্বিক কৃষি ও শিল্প উৎপাদন বেড়েছে। তারপরও কতিপয় গণমাধ্যম এসব অর্জনকে অন্য রং দেয়ার চেষ্টা করছে।
এখন কিছু গণমাধ্যমের প্রবণতা হলো টিসিবির ট্র্যাকের পেছনের মিছিলটা বড় করে দেখানো। অনেক নেতৃত্ব স্থানীয় পত্রিকায় এসব দেখি। ছবি দিয়েছে রাস্তায় শুয়ে আছে কিন্তু ড্রেসটা দেখা যাচ্ছে সুন্দর শাড়ি। আমি যেটা বলতে চাই সেটা হচ্ছে, বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি সমর্থিত কিছু পত্রিকা গোপনে বা প্রকাশ্যে নতুন করে কিছু করার চেষ্টা করছে।