১০ বছর বয়স্কদের স্মার্টকার্ড দিতে চায় ইসি

এবার ১০ বছর বয়সিদের হাতে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র (স্মার্টকার্ড) তুলে দিতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী বছর ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম থেকে সংশ্লিষ্ট বয়সিদের তথ্য সংগ্রহের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

এ জন্য দ্বিতীয় স্মার্টকার্ড প্রকল্প তৈরি করে সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। ইতিমধ্যে প্রায় ৭ কোটি নাগরিকের হাতে স্মার্টকার্ড তুলে দিয়েছে ইসি। ২০৩০ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে দেশের সকল নাগরিকের হাতে স্মার্টকার্ড পৌঁছানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, ১০ বছর থেকেই আগামীতে এনআইডি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। ঐ বয়সিদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্পষ্ট হয়। তাছাড়া প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীর সার্টিফিকেটধারী হয় এই বয়সিরা। প্রাথমিকভাবে স্কুল বা কলেজে গিয়ে তথ্য সংগ্রহের চিন্তা আছে। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে ঝরেপড়া এই বয়সিদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার সময়ে।

ইসির সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আইনানুযায়ী বর্তমানে ১৮ বছর বয়সিরা ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন। বর্তমানে তাদেরকে উন্নতমানের স্মার্ট এনআইডি দেওয়া হয়। চলমান স্মার্টকার্ড প্রকল্প নতুন করে মেয়াদ না বাড়িয়ে ইসির অধীন আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর ইনহ্যান্স একসেস টু সার্ভিসেস (আইডিইএ) কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে স্মার্টকার্ড দ্বিতীয় প্রকল্পের প্রস্তাব তৈরি করে সরকারের কাছে দিয়েছে। পাশাপাশি প্রবাসী বাঙালিদের ভোটার করে তাদেরকে-ও স্মার্টকার্ড দেওয়া হবে। এ ছাড়া বিদ্যমান স্মার্টকার্ড প্রকল্পের আওতায় যারা এখনো স্মার্টকার্ড পাননি তাদের-নতুন প্রকল্পের অর্থায়ন থেকে স্মার্টকার্ড পাবেন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে। বর্তমানে ইসির তথ্যভান্ডারে ১০ কোটি ৯৬ লাখ ভোটার রয়েছে। তারাও এ প্রকল্প থেকে স্মার্টকার্ড পাবেন। আগামী ২০২৫ সাল পর্যন্ত সম্ভাব্য কতো ভোটার ইসির তথ্যভান্ডারে যুক্ত হতে পারেন, সেটাকে আমলে নিয়ে নতুন প্রকল্পের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সেখানে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা। ঐ সময় পর্যন্ত নতুন কতজন ভোটার হতে পারেন তার সম্ভাব্য একটি সংখ্যা ধরে অর্থ-বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।

পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো প্রস্তাবে বলা হয়েছে, এনআইডি ডাটাবেজকে সম্প্রসারিত করে একটি আধুনিক, যুগোপযোগী, সুরক্ষিত ও আদর্শ ডাটাবেজে রূপান্তরের মাধ্যমে বাংলাদেশের সকল নাগরিককে ইউনিক আইডির আওতায় আনা।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.