রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীরাঙ্গনা পারুলের শেষকৃত্য সম্পন্ন

বরগুনার পাথরঘাটায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীরাঙ্গনা পারল রানীর (৯০) শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে পাথরঘাটা থানা পুলিশ তাঁকে গার্ড অব অনার প্রদান করে রাষ্ট্রীয় সম্মান জানায়।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) রাত পৌনে ৯টায় নিজ বাড়িতে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন বীরাঙ্গনা পারুল রানী। তিনি দুই ছেলে, দুই মেয়ে ও অনেক গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর স্বামী মনোহর মিস্ত্রী শহীদ মুক্তিযোদ্ধা।
১৯৭১ সনে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক সেনারা পারুল রানীর স্বামী মনোহর মিস্ত্রী, তাঁর ভাই কর্ণধর মিস্ত্রী ও তাঁদের প্রতিবেশী মতিউর রহমানকে গুলি করে হত্যা করে। এছাড়া পাকবাহিনী তাঁদের বাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। তাঁর ছেলে মনমথ মিস্ত্রী মুক্তিযুদ্ধে থাকায় ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান।

পারুল রানীর ছেলে মনমথ রঞ্জন মিস্ত্রী বলেন, ‘মা দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত কারণে শয্যাশায়ী ছিলেন। গতরাত ৮টা ৪৫ মিনিটে নিজ বাড়িতে তিনি দেহত্যাগ করেন। তিনি বলেন, ‘বাবা হত্যার বিচার দেখে যেতে পারলেন না আমার মা। মারা যাওয়ার আগে প্রতিমুহূর্তে স্বামী হত্যার বিচার চেয়েছিলেন। আমার মা ২০১৮ সালের ২৫ নভেম্বর বীরাঙ্গনা হিসেবে ভাতাপ্রাপ্ত হন।

পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিনা সুলতানা বলেন, ‘উপজেলার মহিলা মুক্তিযোদ্ধা (বীরঙ্গনা) পারুল রানী মিস্ত্রীর শেষকৃত্য শুক্রবার (৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় যথাযথ রাষ্ট্রীয় সম্মানে সম্পন্ন করা হয়।’ পাথরঘাটা থানার ওসি মো.শাহাবুদ্দিনের নেতৃত্বে পাথরঘাটা থানা পুলিশ তাঁকে গার্ড অব অনার প্রদান করে বলে কালের কণ্ঠকে জানান তিনি।

এসময় পাথরঘাটা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার এম এ খালেকসহ এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.