যুদ্ধ থামাতে যুক্তরাষ্ট্র-তালেবান চুক্তি সই

সংকট কাটিয়ে শান্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে আফগানিস্তানের জঙ্গি গোষ্ঠী তালেবানের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

শনিবার কাতারের দোহায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ও তালেবান নেতারা এই আলোচিত চুক্তিতে সই করেন বলে বিবিসি জানিয়েছে।

এর মধ্যদিয়ে আফগানিস্তানে ১৮ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা দ্বন্দ্ব-সংঘাত-সহিংসতার পথ বন্ধ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তালেবানরা এই চুক্তি মেনে চললে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সহযোগীরা আগামী ১৪ মাসের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে তাদের সৈন্য প্রতাহার করে নেবে।

চুক্তি অনুযায়ী, তালেবানরা আর কোনও হামলা চালাবে না। একই সঙ্গে তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা অঞ্চলে আল-কায়েদাকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

মোতায়েনের পর এখন পর্যন্ত আফগানিস্তানে দুই হাজার ৪শ’র বেশি মার্কিন সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। দেশটিতে এখনও পর্যন্ত অবস্থান করছেন প্রায় ১২ হাজার সেনা সদস্য।

দীর্ঘ সময় ধরে চলা এই সংকট নিরসনের প্রতিজ্ঞা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অবশেষে শর্তসাপেক্ষে চুক্তি সম্পন্ন হলো তালেবান ও যুক্তরাষ্ট্রের।

উড়োজাহাজ ছিনতাই করে ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ও মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগণে হামলার জন্য ওসামা বিন লাদেন ও আল কায়েদাকে দায়ী করে যুক্তরাষ্ট্র।

আফগান সরকারের বিরুদ্ধে তাদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ তুলে ওই হামলার এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে আফগানিস্তানে প্রথমবারের মতো সৈন্য পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র।

২০০১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে মার্কিন বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে তালেবান পরাজিত হয় এবং আল কায়েদা আত্মগোপনে চলে যায়।

এরপর তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ আফগানিস্তানে তার লক্ষ্য পরিবর্তন করে ‘প্রতিশোধের’ বদলে ‘পুননির্মাণ’ করেন, যা দেশটিতে দীর্ঘ সময়ের জন্য মার্কিন বাহিনীর থাকার পথ তৈরি করে। ওসামা বিন লাদেন ২০১১ সালে পাকিস্তানে ধরা পড়েন এবং নিহত হন।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.