বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে আবার রেকর্ড, ৪৩ বিলিয়ন ডলার

বৈশ্বিক মহামারি করোনার উদ্ভূত পরিস্থিতির মধ্যেই দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৩ বিলিয়ন (৪ হাজার ৩০০ কোটি) ডলারের মাইলফলক ছাড়িয়েছে। ফলে বিজয়ের মাসে বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেক ইতিহাস গড়ল রিজার্ভ।

বুধবার (৩০শে ডিসেম্বর) দিনশেষে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৪৩ দশমিক শুন্য ১৭ বিলিয়ন ডলার। যা অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।

আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার মজুত থাকতে হয়। সে হিসাবে বাংলাদেশের বর্তমান রিজার্ভ দিয়ে (প্রতি মাসে চার বিলিয়ন ডলার হিসেবে) সাড়ে ১০ মাসের বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, প্রবাসীরা প্রচুর পরিমাণে রেমিট্যান্স পাঠানোয় রিজার্ভ এ মাইলফলক অতিক্রম করেছে। এ ছাড়া রিজার্ভে অবদান রাখছে রফতানি আয়ের ইতিবাচক ধারা এবং বিদেশি ঋণ-সহায়তা বৃদ্ধি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ১৫ই ডিসেম্বর রিজার্ভ ছিল ৩২.১১ বিলিয়ন ডলার। চলতি বছরের গত ২৯শে অক্টোবর এই রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ৪১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। হিসেবে দেখা গেছে, গত একবছরে প্রায় ১ হাজার ১০০ কোটি ডলার রিজার্ভ বেড়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, করোনার এ সময়ে রিজার্ভ বৃদ্ধি আমাদের জন্য স্বস্তির খবর। আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দুর্যোগ মোকাবিলার মতো অবস্থার চেয়ে বেশি আছে।

রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.