পদ্মা সেতুর ৩৬তম স্প্যান বসায় ৫৪০০ মিটার দৃশ্যমান

মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে ২ ও ৩ নম্বর পিলারের উপর ৩৬ তম স্প্যান যোগ করার মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হলো পদ্মা সেতুর ৫ হাজার ৪০০মিটার। শুক্রবার সকাল ৯টা ৪২ মিনিটে এই স্প্যানটি বসানো হয়। আর মাত্র ৫টি স্প্যান বসানো বাকি থাকলো।

পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান আব্দুল কাদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সব পিলার ও স্প্যান প্রস্তুত থাকায় এখন দ্রুততম সময়ের মধ্যে স্প্যান যোগ করা সম্ভব হচ্ছে বলে জানান প্রকল্প পরিচালক। ডিসেম্বরের মধ্যে ৬ দশমিক এক পাঁচ কিলোমিটারের পুরো সেতু দাঁড়ানোর আশা।

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর একে একে বসানো হয় স্প্যানগুলো। এতে দৃশ্যমান হয়েছে সেতুর পাঁচ হাজার ২৫০মিটার অংশ।

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হওয়ার পর আগামী ২০২১ সালেই খুলে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

মোট ৪২টি পিয়ারে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। সবকটি পিয়ার এরই মধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) এবং নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেড।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.