‘নির্বাচন যাতে না হয় সেজন্য বিরাট চক্রান্ত ছিল’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘নির্বাচন যাতে না হয় তার জনয় বিরাট চক্রান্ত ছিল। ২৮ অক্টোবরের কথাটা চিন্তা করেন, ২০১৩ সালে অগ্নিসন্ত্রাস, এগুলো হঠাৎ করে করার কথা না, এগুলো পরিকল্পিতভাবে করা।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘যারা নির্বাচন বানচালের পক্ষে, তারা যখন দেখল যে নির্বাচন কোনোভাবে আটকাতে পারবে না, তখন চক্রান্ত হলো জিনিসের দাম বাড়বে। তারপর সরকার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হবে।

তখন আন্দোলন করে সরকারকে উৎখাত করব। এটা তাদের পরিকল্পনার অংশ। এ চক্রান্তটা আছে।

শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে গণভবনে তিনদিনের জার্মানি সফর নিয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পেঁয়াজ আমাদের যথেষ্ট উৎপাদন হচ্ছে। সেটা আমরাই শুরু করেছি। পেঁয়াজের বীজ উৎপাদন আমরা শুরু করেছি। আগামীতে আমদানি করতে হবে না।

আপনারা যখন নিউজ করেন তখন তারাই লুকিয়ে রাখা পেঁয়াজ বের করে। বাজারে তার একটা প্রভাব আছে। সেজন্য দামগুলো সামঞ্জস্য হয়। এগুলো বাস্তব কথা, আমি খোলামেলা কথা বলছি, লুকানোর কিছু নাই।

শেখ হাসিনা বলেন, ষড়যন্ত্র চলছে, ষড়যন্ত্র আছে।

আমি আসার পর থেকে বারবার আমাকে বাধা দেওয়া হয়েছে, আমি যেন ক্ষমতা না যেতে পারি। ৭৫-এ জাতির পিতা হত্যাকে ধরেন না কেন? রাসেলকে তো তারা ছাড়েনি। কেন? ওই রক্তের কেউ বাংলাদেশে ক্ষমতায় আসতে না পারে। আমি আর আমার ছোট বোন বিদেশে ছিলাম বেঁচে গেছি, তারপরও ফিরে এসে দায়িত্ব নিয়েছি। আমার চেষ্টায় হচ্ছে, যে স্বপ্ন নিয়ে জাতির পিতা দেশ স্বাধীন করেছেন সেটা পূরণ করা। সেক্ষেত্রে ষড়যন্ত্র বারবার হচ্ছে। ভোটের অধিকার আন্দোলনের মধ্যে আমরাই প্রতিষ্ঠিত করেছি। গণতান্ত্রিক ধারা ফিরিয়ে এনেছি।

তিনি আরো বলেন, মাঘের শেষেও বৃষ্টি হলো, আবার ফাল্গুনের শুরুতে বৃষ্টি, আমের মুকুলগুলো আবার তরতাজা হয়ে উঠছে। সেচের প্রয়োজন হবে না বৃষ্টি হচ্ছে। খাদ্যপণ্যের উৎপাদনে কোনো অসুবিধা হবে না।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.