দিল্লি সহিংসতার বলি: নালা থেকে ৫ মৃতদেহ উদ্ধার, নিহত বেড়ে ৫১

ভারতের রাজধানী দিল্লিতে আরও পাঁচ মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে দিল্লির সাম্প্রদায়িক হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫১ জনে দাঁড়িয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, গোকুলপুরি এলাকার একটি নালা থেকে এই পাঁচ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দুইটি নালা থেকে এ পর্যন্ত মোট ৯টি মরদেহের সন্ধান মিলেছে।

গত সপ্তাহে টানা চার দিনের সহিংসতায় এখনো নিখোঁজ অনেক মানুষ। হন্যে হয়ে তাদের খুঁজছেন ঘুরছেন স্বজনরা। এর মধ্যেই আক্রান্ত এলাকায় নালা-নর্দমায় মিলছে মরদেহ।

বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনকে (সিএএ) কেন্দ্র করে পক্ষ-বিপক্ষে সংঘর্ষ থেকে সহিংসতা শুরু হয়। এর জন্য দায়ী করা হয় বিজেপি নেতাদের উসকানিমূলক বক্তব্যকে।

পরদিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুই দিনের সফরে ভারতে আসেন। সেদিন সহিংসতা আরও বড় আকার ধারণ করে। ‘হিন্দুয়োঁ কা হিন্দুস্তান’, ‘জয় শ্রীরাম’- এসব স্লোগান দিয়ে সংখ্যালঘু মুসলিমদের বাড়িঘর, দোকানপাট ও মসজিদে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।

সহিংসতায় মসজিদ ভাঙচুর করে মিনারে হনুমানের পতাকা উড়িয়ে দেয়ার ঘটনা বিশ্বব্যাপী আলোড়ন তুলে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হয়ে উঠে এই ঘটনা। এ ছাড়া আরও দুই মসজিদ এবং একটি মাজার ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।

গতকাল ভারতের পার্লামেন্টের দুই কক্ষই উত্তপ্ত হয়ে উঠে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা ও অবহেলায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পদত্যাগ চায় বিরোধী দলগুলো। এদিন বিজেপির বিরুদ্ধে ‘মুর্দাবাদ’ স্লোগান তুলতে দেখা গিয়েছে আম আদমির এমপিদের।

এদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘দিল্লিতে পরিকল্পিতভাবে গণহত্যা করা হয়েছে। এরপর তাকে দাঙ্গার চেহারা দেওয়া হয়েছে। গত কয়েক দিন ধরে দিল্লির মাটিতে যেভাবে মানুষ হত্যা হয়েছে এটা পরিকল্পিত গণহত্যা।’

নিজের দাবির সপক্ষে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি কেন গণহত্যা বলছি? কারণ পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেছে। দিল্লিতে গুজরাট মডেল প্রয়োগ করা হয়েছে। বিজেপি এর পরেও ক্ষমা চায়নি। দেশের সম্মান তলিয়ে দিয়েছে এই সরকার।’

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.