ঘৃতকুমারী, তৃপ্তি নামে দুটি খামার প্রস্তুত করেছি: জ্যোতি

অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি। এরইমধ্যে বিভিন্ন ধরনের ব্যাতিক্রমি চরিত্রে সাবলীল অভিনয় করে নিজেকে সুঅভিনেত্রী হিসেবে প্রমাণ করেছেন। সর্বশেষ তিনি অভিনয় করেছেন সরকারি অনুদানের ‘মায়া- দ্য লষ্ট মাদার’ ছবিতে। ছবির নাম ভূমিকায় অভিনয় করে প্রশংসিতও হয়েছেন তিনি। এর আগে কলকাতায় মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত ‘রাজলক্ষী শ্রীকান্ত’ শীর্ষক ছবি। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই অন্যরকম এক উদ্যোগ নিয়েছেন জ্যোতি। কৃষিকাজে মনোযোগী হয়েছেন তিনি। নিজ গ্রামে বেশ বড় আয়োজনে শুরু করেছেন এ কাজ।

সব মিলিয়ে কি অবস্থা? জ্যোতি বলেন, বেশ ভালো চলছে। কাজের মধ্যে দিয়েই সময় চলে যাচ্ছে। অভিনেত্রী হিসেবে কাজের পাশাপাশি কৃষিকাজ শুরু করেছেন। কেমন লাগছে? অভিজ্ঞতাটা কেমন? জ্যোতি হেসে বলেন, লকডাউনের সময়টা ছিলাম গ্রামের বাড়িতে। টানা ২৫ দিন সেখানে থেকে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছি। আমাদের এই প্রতিষ্ঠানের নাম ‘খনা অর্গানিক’। এরই মধ্যে ‘ঘৃতকুমারী’ ও ‘তৃপ্তি’ নামের দুটি খামার প্রস্তুত করেছি। ‘ঘৃতকুমারী’তে চাষ হবে বিভিন্ন দেশীয় ফল ও ঔষধি গাছ। ‘তৃপ্তি’তে পালন করা হবে এক হাজার দেশি মুরগি। জ্যোতি আরো বলেন, এর পরিকল্পনা, ডিজাইন, জমি তৈরি, গাছ লাগানো সব আমার করা। আপাতত আমার মিডিয়া প্রডাকশন হাউসের কাজ এবং এগ্রো ফার্মের কাজ একা করছি প্রায় জিরো বাজেটে। মানসিক আর শারীরিক শ্রমই আমার বিনিয়োগ। প্রতিদিন গড়ে ২১ ঘণ্টা কাজ করছি। বিরতিহীন কাজ চলছে।

কৃষিকাজ ও অভিনয় দুটোই কি একসঙ্গে চলছে? জ্যোতি বলেন, আমি তো ব্যাতিক্রমী ছাড়া কাজ করছি না। ভালো মানের ও পছন্দের সিনেমা হলেই কাজ করছি। ‘মায়া,দ্য লস্ট মাদার’ সর্বোচ্চ সংখ্যক ক্যাটাগরিতে ২০১৯ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছে। আপনি পাননি। মন খারাপ? জ্যোতি বলেন, একদমই না। কারণ সিনেমাটি দেখে দর্শক আমাকে ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড দিয়েছিলো! আমি তাতে আপ্লুত হয়েছিলাম। যাদের নামই ঘোষিত হয়েছে তাদের সবাইকে শুভেচ্ছা। নতুন কাজের কি খবর? জ্যোতি বলেন, কিছু কাজের প্রস্তাব রযেছে। চিন্তাভাবনা করছি। নতুন বছরে হয়তো কাজ শুরু করবো।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.