এই প্রথম কৃত্রিম কর্নিয়ায় ফিরল দৃষ্টিশক্তি

সরায়েলের ৭৮ বছর বয়সি জামাল ফুরানী কর্নিয়াল ডিজিজে ভুগে ১০ বছর আগে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছিলেন। তবে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের বদৌলতে এখন তিনি পুনরায় চোখে দেখতে পারছেন।

তার চোখে কৃত্রিম কর্নিয়া স্থাপন করা হয়েছে। কৃত্রিম কর্নিয়ার মাধ্যমে দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়ার প্রথম ঘটনা এটি। ইসরায়েলের রবিন মেডিক্যাল সেন্টারের চক্ষু বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ইরিত বাহার সম্প্রতি ১ ঘণ্টার এই সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করেন।

চোখে কৃত্রিম কর্নিয়া প্রতিস্থাপনের এই ব্যবস্থার নাম ‘কেপ্রো’, যেখানে চোখের ভেতরের সাদা অংশে নন-ডিগ্রেডেবল সিন্থেটিক ন্যানো টিস্যু স্থাপন করা হয়েছে। কৃত্রিম কর্নিয়ার উপরের স্তরটি বায়োমিমেটিক উপাদান দিয়ে তৈরি বলে জানিয়েছে এর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান করনেট।

করনেট তাদের উদ্ভাবিত কেপ্রো’র এর প্রথম হিউম্যান ট্রায়াল ১০ জন রোগীর ওপর পরিচালনার জন্য গত বছরের জুলাইয়ে অনুমতি পেয়েছিল। ডেইলি মেইলের খবরে বলা হয়েছে, চলতি মাসের ১১ তারিখে ইসরায়েলের ওই ব্যক্তির চোখে এর প্রথম সফল অস্ত্রোপচার করা হয়। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে কৃত্রিম কর্নিয়া চোখের উপযোগী হয়ে ওঠেছে।

কর্নিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হলে দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পায়। একসময় অন্ধত্বও বরণ করতে হয় অনেককে। করনেট ভিশনের চিফ মেডিক্যাল অফিসার এবং কেপ্রো ডিভাইসের উদ্ভাবন ডা. গিলাদ লিটভিন বলেন, ‘এই প্রতিস্থাপন পদ্ধতিটি তুলনামূলক সহজ এবং এক ঘণ্টারও কম সময় লাগে। বিশ্বব্যাপী কর্নিয়াজনিত লাখ লাখ অন্ধ রোগীদের এটি সহায়তা করতে পারে, কারণ এই প্রতিস্থাপন চিকিৎসার জন্য কর্নিয়া দাতার প্রয়োজন হয় না।’

কর্নিয়া জনিত অন্ধত্বে কর্নিয়া প্রতিস্থাপন প্রচলিত একটি চিকিৎসা ব্যবস্থা। তবে এর জন্য কর্নিয়া দাতার প্রয়োজন পড়ে, যদিও শূকরের কর্নিয়া এর বিপরীতে একটি কার্যকরী সমাধান। কিন্তু কেপ্রো নামক কৃত্রিম কর্নিয়া ব্যবস্থার সাফল্য অনেকের জীবনমানে সহজেই পরিবর্তন আনতে নতুন দিক উন্মোচন করবে বলে অভিমত সংশ্লিষ্টদের।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.