‘উদ্যোক্তারাই দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির কান্ডারি’

উদ্যোক্তাদের দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির কান্ডারি উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের যে অর্থনৈতিক উন্নতি হয়েছে উদ্যোক্তারাই পারে তাকে শক্তিশালী ভিতের ওপর প্রতিষ্ঠিত করতে।

শনিবার ঢাকার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ‘নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন’-এর ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও উদ্যোক্তা মহাসম্মেলন এবং ৬৪ জেলার বিখ্যাত খাবার ও পণ্য মেলা-২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, উদ্যোক্তারা শুধু নিজে স্বাবলম্বী হয় না তারা সমাজের আরও দশজনকে স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেয়। গুগল, ফেসবুক, মাইক্রোসফট ও টেসলার মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্যোক্তারা ছিলেন বলেই আজ সারাবিশ্বে আমেরিকা নেতৃত্ব দিতে পারছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, বিশ্ব অর্থনীতিতে সম্মানের আসনে অধিষ্ঠিত হতে হলে বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদেরও বিভিন্ন নতুন নতুন ধ্যান-ধারণা নিয়ে কাজ করে সেগুলোর সঠিক বাস্তবায়ন করতে হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফাউন্ডেশনটির প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট ইকবাল বাহার জাহিদ।এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী এমপি, ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন এমপি, জারা মাহবুব এমপি, ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের ইকোনমিক ইউনিট চিফ জোসেফ গিবলিন, গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান, স্টার্টআপ বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সামি আহমেদ।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী অর্থনৈতিক বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে বলেন, এক সময়ের খাদ্য ঘাটতির বাংলাদেশ আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে খাদ্যের স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। বিএনপি আমলে বিদ্যুৎ উৎপাদন মাত্র ১৬০০ মেগাওয়াট ছিল, বর্তমানে বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে দেশের প্রান্তিক মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিয়েছে সরকার। এ ধরনের বিভিন্ন উদ্যোগ টেকসই করার জন্য অর্থনৈতিকভাবে আমাদেরকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

মন্ত্রী ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্টের কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যার যে বিশাল তরুণ-তরুণী রয়েছে তাদের কর্মক্ষমতাকে কাজে লাগাতে পারলেই আমাদের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে।

নিজের ব্যবসায়িক জীবনের শুরুর দিকের স্মৃতিচারণ করে তিনি উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে বলেন, উদ্যোক্তা হতে গেলে সবচেয়ে বড় যে গুণাবলী নিজের মধ্যে ধারণ করতে হবে তা হচ্ছে আত্মবিশ্বাস এবং কোনো বাধাতেই হাল না ছেড়ে দেওয়ার দৃঢ়তা।

উদ্যোক্তা হিসেবে নিজের ব্যবসা দাঁড় করাতে গেলে নানা রকমের প্রতিবন্ধকতা আসবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সামনে এগিয়ে যাওয়ার দৃঢ় বিশ্বাসই একজন উদ্যোক্তার অন্যতম পুঁজি যা তাকে কখনোই পরাজিত হতে দিবে না।

তরুণ উদ্যোক্তারা তাদের প্রাণচাঞ্চল্য, কর্মস্পৃহা এবং জীবনী শক্তি দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

‘নিজের বলার মতো একটা গল্প’ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দেশের ৬৪ জেলা, ৪৯২টি উপজেলা ও ৫০টি দেশ থেকে সাড়ে ১২ লাখ তরুণ-তরুণীকে টানা ৯০ দিনব্যাপী ২৬টি ব্যাচে অনলাইনে উদ্যোক্তা তৈরির কর্মশালার টানা ২৩শ তম দিন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.