ইরানের প্রেস টিভির ওপর কানাডার নিষেধাজ্ঞা

ইরানের সহিংস বিক্ষোভে অংশ নেওয়া লোকজনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ভুয়া অভিযোগ তুলে ইরানের বহু সংখ্যক নাগরিক এবং প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর মধ্যেই ইরানের ইংরেজি ভাষার স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল প্রেস টিভিও রয়েছে।

গত ১৬ সেপ্টেম্বর ইরানের কোরদেস্তান প্রদেশের একটি থানায় ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনী নামে এক তরুণী আকস্মিকভাবে অজ্ঞান হয়ে মারা যাওয়ার প্রতিবাদে প্রথমে কোরদেস্তান শহরে বিক্ষোভ শুরু হয়, পরে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অংশে তা ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারীরা দ্রুত সহিংস হামলা শুরু করে এবং নিরাপত্তা বাহিনী থেকে শুরু করে সরকারি সম্পত্তির ওপর তারা একের পর এক হামলা চালাতে থাকে।

এমনকি তারা মসজিদ মাজারসহ বিভিন্ন ধর্মীয় পবিত্র স্থানের অবমাননা করে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ীসহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের মন্ত্রী এবং কর্মকর্তারা সুস্পষ্ট করে বলেছেন, এই সহিংস বিক্ষোভের পেছনে আমেরিকাসহ পশ্চিমা কিছু দেশ এবং ইহুদিবাদী ইসরাইলের উসকানি রয়েছে।

গত সোমবার কানাডা সরকার এক বিবৃতিতে ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা জানিয়ে বলেছে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের জবাবে এই ব্যবস্থা নেওয়া হলো। আগেই কানাডা ইরানের ২৫ ব্যক্তিকে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রেখেছে, এছাড়া নয়টি প্রতিষ্ঠান এবং ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি এবং দেশের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেখা দিয়ে রেখেছে।

এছাড়া গত দুই সপ্তাহ ধরে চলমান বিক্ষোভের বস্তুনিষ্ঠ খবর তুলে ধরার ক্ষেত্রে ইরানের ইংরেজি ভাষার টেলিভিশন চ্যানেল প্রেস টিভি যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে এই চ্যানেলটিকেও নিষেধাজ্ঞার তালিকায় এনেছে কানাডা সরকার।

এছাড়া ইরানের স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী বাসিজ, ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অফ স্টাফের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. বাকেরী, আইআরজির কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমাদ ওয়াহিদি, জাতীয় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পরিষদের সচিব আলী শামখানি, সংসদ স্পিকার বাকের কালিবফ এবং আইআরজিসির কুদস ফোর্সের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইসমাইল কানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে কানাডা।

সূত্র: পার্সটুডে

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.