বিশ্বের সবচেয়ে কনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী কে এই মারিন?

সম্প্রতি মাত্র ৩৪ বছর বয়সী সানা মারিনকে ফিনল্যান্ডের সংবিধান অনুযায়ী আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করা হয়। আর এর মধ্য দিয়ে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার খ্যাতি অর্জন করেছেন তিনি। তারপর থেকে গোটা দুনিয়ার মানুষের কৌতুহলের অন্ত নেই তাকে ঘিরে। চলুন জেনে নেয়া যাক কে এই সানা মারিনঃ

★ সানা মারিন এর আগে পরিবহন এবং যোগাযোগ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

★ তিনি হলেন দেশটির তৃতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী। তার আগের দুজন- আন্নেলি এবং মারি ছিলেন অন্য আরেকটি দল ‘সেন্টার পার্টি’র নেতা।

★ মারিন এখন ‘মারিন সরকার’ এর প্রধান যা ৫ দলীয় জোটের মাধ্যমে গঠিত হয়েছে। মারিন সরকারের মন্ত্রীসভার ১৯ জন মন্ত্রীর মধ্যে ১২ জনই হলেন নারী।

★ মারিন ‘সেইম সেক্স প্যারেন্টস (দুইজন নারী)’ এর সন্তান। তাই ভয়াবহ সংকটের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে তাকে। পরিবার নিয়ে কখনই গর্ব করে কথা বলতে পারেননি তিনি। সবসময় হীনমন্যতাবোধ কাজ করেছে তার ভেতর।

★ পরিবারে চরম আর্থিক সংকটে থাকায় মাত্র ১৫ বছর বয়সে একটি বেকারিতে কাজ নেন তিনি। স্কুলে পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন সাময়িকীও বিক্রি করে বেড়াতেন।

★ সানা তার পরিবারের একমাত্র সদস্য, যিনি স্কুলজীবন শেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডিতে পা রেখেছেন।

★ তিনি ‘তামপিরি বিশ্ববিদ্যালয়’ থেকে ‘প্রশাসন বিজ্ঞান’ এ মাস্টার্স করেছেন।

★ ২০ বছর বয়সে রাজনীতিতে তার হাতেখড়ি। যোগ্যতা দিয়ে তিনি খুব দ্রুত তার দল ‘সোস্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি’র শীর্ষ নেতা অ্যান্তি রিনের মনোযোগ আকর্ষণ করেন। তার ডেপুটি হওয়ার পাশাপাশি খুব কাছের পাত্রে পরিণত হন।

★ মাত্র দুই বছরের মাথায় রাজধানী হেলসিংকির উত্তরে টামপিরি শহরের কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তবে হেরে যান। কিন্তু পরবর্তী পাঁচ বছরের মধ্যে তিনি শুধু জয়ী-ই হননি, কাউন্সিলরদের নেতা বনেও যান। তখন তার বয়স ২৭ বছর।

★ ২০১৫ সালের মাত্র ৩০ বছর বয়সে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং এবছর পুনঃনির্বাচিত হন।

★ ডাক বিভাগীয় ধর্মঘট মোকাবেলায় জোটের দলগুলোর আস্থা হারানোর পর পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী আনত্তি রিন্নি। পরবর্তী সময়ে তার উত্তরসূরি হিসেবে সান্না মারিনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.