‘করোনার কারণে ৩০২ কোটি ডলার ক্ষতি হতে পারে বাংলাদেশের’

করোনাভাইরাস সম্ভাব্য সবচেয়ে খারাপ দিকে গেলে বাংলাদেশ ৩০২ কোটি ১০ লাখ ডলার পর্যন্ত অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে এশিয়ার অর্থনীতিতে প্রভাব বিষয়ে শুক্রবার এডিবির প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

এডিবির পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, বিশ্ববাসী সবচেয়ে ভালোভাবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ সামাল দিতে পারলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি হবে ৮০ লাখ ডলার। আর মোটামুটি ভালোভাবে অর্থাৎ সংক্রমণ তীব্র হওয়ার তিন মাসের মাথায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা গেলে বাংলাদেশের ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে এক কোটি ৬০ লাখ ডলার, যা জিডিপির দশমিক ০১ শতাংশ।

এডিবি বলছে, করোনাভাইরাসের বিস্তার এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনীতির ওপর উল্লেখযোগ্য নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। পর্যটন, ভ্রমণ, বাণিজ্য ও উৎপাদনব্যবস্থায় ধাক্কা, অভ্যন্তরীণ চাহিদা হ্রাস, সরবরাহ ব্যাহত ও স্বাস্থ্যগত প্রভাবে এই ক্ষতি হবে। অর্থনৈতিক ক্ষতির মাত্রা কী হবে তা নির্ভর করছে ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কতটা বিস্তৃত হবে তার ওপর, যা এখনো খুবই অনিশ্চিত।

এডিবির পর্যালোচনায় নভেল করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ব অর্থনীতির ক্ষতির পরিমাণ ৭৭ বিলিয়ন থেকে ৩৪৭ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত, যা জিডিপির দশমিক ১ থেকে দশমিক ৪ শতাংশ হবে। পরিস্থিতি খুব বেশি খারাপ না হলে ভাইরাস সংক্রমণ তীব্র মাত্রায় পৌঁছার তিন মাসের মাথায় পূর্বসতর্কতামূলক ব্যবস্থা ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার মতো বিধি-নিষেধ কাটতে শুরু করলে বৈশ্বিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে ১৫৬ বিলিয়ন ডলার, যা বৈশ্বিক জিডিপির দশমিক ২ শতাংশ।

এডিবির পূর্বাভাস, করোনাভাইরাস সংক্রমণের এই ধাক্কায় চীন ১০৩ বিলিয়ন ডলার বা জিডিপির দশমিক ৮ শতাংশ ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। এশিয়ার বাকি উন্নয়নশীল দেশগুলো ২২ বিলিয়ন ডলার বা জিডিপির দশমিক ২ শতাংশ ক্ষতির মুখে পড়বে। সংস্থার প্রধান অর্থনীতিবিদ ইয়াসুউকি সয়াডা বলেছেন, ‘কভিড-১৯ নিয়ে অর্থনৈতিক প্রভাবসহ অনেক দিক দিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। ক্ষতির স্পষ্ট চিত্রের জন্য নানা দিক দেখতে হবে।’

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.