‘একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে এত ভালোবাসা পেয়েছিলাম, আর এখন পাচ্ছি’

করোনাভাইরাস থেকে সেরে উঠা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন,আমি অসুস্থ হওয়ার পর আপনারা যে এতজনে দোয়া করেছেন, তা অকল্পনীয়। মানুষ এত ভালোবাসতে পারে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে এত ভালোবাসা পেয়েছিলাম, আর এখন পাচ্ছি।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের গেরিলা কমান্ডার মেজর এ টি এম হায়দার বীর উত্তম মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

সভায় ডা. জাফরুল্লাহ খুবই অল্প সময় কথা বলেন।

আলোচনার শুরুতে সঞ্চালক বলেন, আপনাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে ডা. জাফরুল্লাহর একটু সমস্যা হবে। যতটা কম কথা বলা যায়, সেটাই ভালো।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্ট্রি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী করোনাভাইরাস থেকে রোগ মুক্তিতে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং তার চিকিৎসা ব্যয় সম্পর্কে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে অতিরিক্ত আলোচনা করা হয় ‘করোনা বনাম বিশ্ব পুঁজিবাজার ২০২০-২১ বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট’ বিষয়ে।

ডা. জাফরুল্লাহ জানান, তার ফুসফুস সংক্রমিত। এখনও সেরে উঠেনি।তার কথা বলতে কষ্ট হয়।

১৩ জুন গণস্বাস্থ্যের কিটে পরীক্ষা করে ডা. জাফরুল্লাহর করোনার ফল নেগেটিভ আসে।

এর আগে ২৫ মে তিনি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হন। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষা হলে তার করোনা পজিটিভ আসে।পরে বিএসএমএমইউর কিটেও একই রেজাল্ট আসে।

৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার কিছুদিন পর থেকে এই ভাইরাস শনাক্তরণে কিট উদ্ভাবনে নামে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। ড. বিজন কুমার শীলের নেতৃত্বে বিজ্ঞানীদের একটি দল তা উদ্ভাবনও করেছে। এই প্রতিষ্ঠানের উদ্ভাবিত কিট এখনও সরকারের কাছ থেকে অনুমোদন পায়নি।

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.