তারকাদের জীবন মানেই গ্ল্যামার আর সৌন্দর্যের নিরন্তর সাধনা। বিশেষ
করে ক্যামেরার সামনে যারা কাজ করেন, সব সময় নিখুঁত থাকার তাদের ওপর একরকম
চাপ থাকে। এর জন্য অনেকেই সাহায্য নেন বিভিন্ন কসমেটিক পদ্ধতির।
প্লাস্টিক সার্জারি করে চেহারায় পরিবর্তন নিয়ে বহু তারকা এ নিয়ে মুখ
খুলতে চান না, অথবা অস্বীকার করেন। সাম্প্রতিক সময়ে যেসব পাকিস্তানি
তারকাদের বিরুদ্ধে প্লাস্টিক সার্জারির অভিযোগ উঠেছে এবং তারা সেগুলো
অস্বীকার করেছেন তাদের নিয়ে আজকের প্রতিবেদন।
ফিজা আলী : পাকিস্তানের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ফিজা আলী ছোটবেলা থেকেই
অভিনয় জগতের সঙ্গে যুক্ত। অভিনয়, মডেলিং, গান, এবং উপস্থাপনা-সব ক্ষেত্রেই
তার সুনাম আছে। তবে বহু বছর ধরে তার ঠোঁট এবং গালের পরিবর্তনের কারণে
ভক্তদের মধ্যে প্লাস্টিক সার্জারির গুঞ্জন শোনা যায়। ফিজা অবশ্য বরাবরই এসব
অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
কোমল মীর : তরুণ অভিনেত্রী কোমল মীরের ক্যারিয়ার শুরু হয় ‘মিস ভিইট
পাকিস্তান’ দিয়ে। এরপর ‘এহদ-এ-ওয়াফা’ এবং ‘রেশম গলি কি হুসনা’-এর মতো নাটকে
অভিনয় করে তিনি জনপ্রিয়তা পান। সম্প্রতি তার চেহারায় আকস্মিক এক পরিবর্তন
ভক্তদের অবাক করে দেয়। অনেকের ধারণা, তিনি মুখে ফিলার ব্যবহার করেছেন। তবে
কোমল মীর এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ৬ কেজি ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণেই তার
চেহারা এমন পরিবর্তন হয়েছে।
আলিজে শাহ : খুব অল্প বয়সে তারকাখ্যাতি পাওয়া আলিজে শাহ প্রায়শই
সংবাদের শিরোনাম হন। ‘এহদ-এ-ওয়াফা’ নাটকে তার মিষ্টি ও নিষ্পাপ চেহারা
ভক্তদের মন জয় করেছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার চেহারার পরিবর্তন হওয়ায়
ভক্তরা মনে করেন, এর পেছনে কসমেটিক সার্জারির হাত আছে। আলিজে অবশ্য এই
অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার ভাষ্য, ‘এহদ-এ-ওয়াফা’র সময় তিনি কিশোরী ছিলেন,
এখন তিনি ২০-এর কোঠায়। তাই বয়সের কারণেই তার চেহারায় পরিবর্তন এসেছে।
নিদা ইয়াসির : ৯০-এর দশকে অভিনয় দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করা নিদা ইয়াসির
বর্তমানে পাকিস্তানের ‘মর্নিং শো কুইন’ হিসেবে পরিচিত। সময়ের সঙ্গে তার
চেহারারও ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। অনেকেই এর পেছনে কসমেটিক সার্জারির হাত
আছে বলে মনে করেন। নিদা অবশ্য তার শো-তে এ বিষয়ে কথা বলেছেন। তার দাবি,
আধুনিক মেকআপ এবং গ্রুমিংয়ের কারণেই তাকে এখন ভিন্ন দেখায়, কোনো ধরনের
সার্জারি তিনি করাননি।
নাইমাল খাওয়ার আব্বাসী : ‘ভের্না’ ছবিতে অভিষেক এবং প্রথম নাটক
‘আনা’-এর মাধ্যমেই নাইমাল খাওয়ার আব্বাসী পরিচিতি পান। পরে তিনি অভিনয় ছেড়ে
অভিনেতা হামজা আলী আব্বাসীকে বিয়ে করেন। তার সৌন্দর্যের প্রশংসা প্রথম
থেকেই ছিল। কিন্তু তার নাকের আকস্মিক পরিবর্তন নিয়ে অনলাইনে তোলপাড় শুরু
হয়। অনেকেই দাবি করেন, তার ননদ ডা. ফজিলা আব্বাসী এই সার্জারি করেছেন।
পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে, ডা. ফজিলার পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়
যেখানে তিনি স্পষ্ট জানান, তিনি কারও উপর কোনো ধরনের সার্জারি করেননি।
নীলাম মুনীর : পাকিস্তানে নীলাম মুনীর একজন জনপ্রিয় তারকা। ছোটবেলা
থেকে কাজ করতে করতে তিনি এখন প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী। তার প্রাকৃতিক
সৌন্দর্যের অনেক প্রশংসা করা হয়। সম্প্রতি তার চেহারায় একটি বড় ধরনের
পরিবর্তন এসেছে বলে অনেকেই মনে করছেন। যদিও নীলাম মুনীর সবসময়ই বলেছেন,
তিনি কোনো ধরনের কসমেটিক পদ্ধতি ব্যবহার করেননি এবং তার চেহারা সম্পূর্ণ
প্রাকৃতিক।
এ জাতীয় আরো খবর..