বুর্জ খলিফাকে হার মানাবে ‘স্কাই মাইল টাওয়ার’

বুর্জ খলিফাকে উচ্চতায় হার মানাবে ‘স্কাই মাইল টাওয়ার’
বিশ্বের উচ্চতম স্হাপনা কেউ ঘুরে দেখতে চাইলে সাধারণভাবেই কল্পনায় এসে যায় দুবাইয়ের বুর্জ খলিফা কিংবা চীনের সাংহাই টাওয়ারের কথা। কিন্তু পাঠক কল্পনার এসব চিত্র এখন বদলে দিতে যাচ্ছে জাপান। বুর্জ খলিফাকে হার মানিয়ে মাথা উঁচু করে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবন নির্মাণ করতে যাচ্ছে জাপান।

রাজধানী টোকিওতে নির্মাণ হতে যাওয়া এই ভবনের নাম ‘স্কাই মাইল টাওয়ার’। এর উচ্চতা ১ হাজার ৭০০ মিটার বা ৫ হাজার ৫৭৭ ফুট যা, বুর্জ খলিফাকে অতিক্রম করে যাবে। কারণ বুর্জ খলিফার উচ্চতা ২ হাজার ৭১৭ ফুট। বিশ্বের অন্যতম স্থাপত্য নির্মাণ সংস্থা কোহন পেডেরসেন ফক্স অ্যাসোসিয়েটস এই ‘স্কাই মাইল টাওয়ার’ তৈরি করবে। এর ইঞ্জিনিয়ারের নাম লেসলি ই রবার্টসন।

এর আগেও বহু বিখ্যাত ইমারত নির্মাণের সঙ্গে তার নাম রয়েছে। হংকংয়ের ব্যাংক অব চায়না টাওয়ার থেকে শুরু করে সাংহাই ওয়ার্ল্ড ফিন্যান্সিয়াল সেন্টার, কুয়ালালামপুরের পিএনবি ১১৮ এগুলো রবার্টসনের পরিকল্পনায় হয়েছে। তবে স্কাই মাইলের নির্মাণের জন্য এখনো কোনো জমি খুঁজে পাওয়া যায়নি টোকিওতে। তাই দেশটির সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সমুদ্রে কৃত্রিম দ্বীপপুঞ্জ তৈরি করে তার ঠিক মাঝখানে এই টাওয়ারটি বানানো হবে, যাতে ৫৫ হাজার মানুষ একসঙ্গে থাকতে পারবে। রেস্তোরাঁ থেকে শুরু করে জিম, শপিংমল, হাসপাতাল, হোটেল, লাইব্রেরিসহ অনেক কিছুর ব্যবস্হাই রয়েছে এখানে।

তবে সমুদ্রের মধ্যে এত উঁচু টাওয়ার তৈরি করতে অনেক সমস্যার মুখে পড়তে হবে। আর সেসব সমস্যা মোকাবিলায় পরিকল্পনাও করা হয়েছে। উচ্চতা বেশি হওয়ায় ঝোড়ো হাওয়ার হাত থেকে বাঁচতে টাওয়ারটি বানানো হবে ষড়ভুজ আকারে। বড় সমস্যা যেটা, সেটা হলো এত ওপরে পানি পৌঁছানো। এজন্য টাওয়ারের ভেতরে পানি রাখার বিশেষ ব্যবস্হা করে রেখেছেন রবার্টসন। ২০৩০ সাল থেকে শুরু হবে এর নির্মাণ কাজ। ২০৪৫ সালের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। ফলে সে পর্যন্ত বুর্জ খলিফাই বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবন হিসেবে থেকে যাবে।

‘স্কাই মাইল টাওয়ার’-এর উচ্চতা ১ হাজার ৭০০ মিটার বা ৫ হাজার ৫৭৭ ফুট যা, বুর্জ খলিফাকে ছাড়িয়ে যাবে। কারণ বুর্জ খলিফার উচ্চতা ২ হাজার ৭১৭ ফুট। তবে এটি নির্মাণের জন্য জাপান টোকিওতে জমি খুঁজে পায়নি। তাই দেশটি সমুদ্রে কৃত্রিম দ্বীপপুঞ্জ তৈরি করে তার ঠিক মাঝখানে এই টাওয়ারটি বানানো হবে।

Comments (0)
Add Comment