আশার বাণী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

ইন্ডিপেন্ডেন্টের রিপোর্ট

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেডরোস আধানম ঘেব্রেয়েসাস এবার আশার বাণী শুনিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এ বছরের শেষ নাগাদ করোনা ভাইরাসের টিকা হাতে আসতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্বাহীদের এক বৈঠকে তিনি এমন আশা প্রকাশ করেছেন। টেডরোস বলেছেন, আমাদের টিকার প্রয়োজন এবং এক্ষেত্রে আশার কথা হলো, বছরের শেষ নাগাদ আমরা টিকা পেয়ে যেতে পারি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
বর্তমানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নেতৃত্বাধীন কোভ্যাক্স বৈশ্বিক টিকার ফ্যাসিলিটিতে পরীক্ষামুলকভাবে ৯টি টিকা রয়েছে। এসব টিকা ২০২১ সালের শেষ নাগাদ ২০০ কোটি ডোজ বিতরণ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোভ্যাক্স কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছে ১৬৮টি দেশ।

এর মধ্যে নেই চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে এক সঙ্গে কাজ করতে দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন টেডরোস। তিনি বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আমাদের নেতাদের কাছ থেকে রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি ছিল একটি টিকা বের করা এবং তা সমতাভিত্তিতে বিতরণ করা। তিনি বলেন, আমাদের একে অন্যকে প্রয়োজন। আমাদের দরকার পারস্পরিক নির্ভরতা। এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের প্রয়োজন সর্বশক্তি ব্যবহার করা।

উল্লেখ্য, সারা বিশ্বের ওষুধ প্রস্তুতকারক ও জনস্বাস্থ্য বিষয়ক প্রতিষ্ঠানগুলো একটি টিকা তৈরির জন্য প্রতিযোগিতা করছে। এর উদ্দেশ্য করোনার মহামারিকে নিয়ন্ত্রণে আনা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই কর্মকর্তা বলেছেন, তাদের সঙ্গে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত টিকা নিয়ে কথা বলছে চীন। এর উদ্দেশ্য আন্তর্জাতিকভাবে সেই টিকা ব্যবহার করা।

অন্যদিকে ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের নিয়ন্ত্রকরা যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রস্তুতকারক ফাইজার এবং জার্মানির বায়োএনটেকের উৎপাদিত টিকার পর্যবেক্ষণ বা পর্যালোচনা শুরু করেছে। এর ফলে এই টিকা অনুমোদনের ধারা ত্বরান্বিত হতে পারে। এই দুটি কোম্পানিই ইউরোপের সঙ্গে গত মাসে ৩০ কোটি ডোজ টিকা সরবরাহ দেয়ার আলোচনা শুরু করেছে। গত সপ্তাহে একই রকম ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, এই রকম আলোচনাও গতি পেতে পারে এস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে। এরই মধ্যে এই প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে ৪০ কোটি ডোজ টিকার একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।

বর্তমানে আফ্রিকায় ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা চলছে ১৫টি টিকার। এর মধ্যে ৫টির পরীক্ষা চলছে দক্ষিণ আফ্রিকায়, চারটি মিশরে। একটি করে টিকার পরীক্ষা চলছে গিনি বিসাউ, ঘানা, উগান্ডা, কেনিয়া, জাম্বিয়া ও জিম্বাবুয়েতে। মঙ্গলবার গ্লাক্সোস্মিথ ক্লিন (জিএসকে) এবং বীর বায়োটেকনোলজি ঘোষণা করেছে যে, তাদের উদ্ভাবিত করোনা ভাইরাসের চিকিৎসার পরীক্ষা তৃতীয় পর্যায়ে প্রবেশ করবে। কমেট-আইস তাদের গবেষণায় বীর-৭৮৩১ নামের ওষুধটি করোনায় আক্রান্তদের জন্য প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে মূল্যায়ন করছে। এই ওষুধটি প্রয়োগ করা হচ্ছে যেসব রোগী হাসপাতালে নেয়ার ক্ষেত্রে বড় ঝুঁকিতে আছেন, তাদের ওপর। এটি একটি এন্টিবডি। এটাকে নির্বাচন করা হয়েছে করোনা ভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করার জন্য। এ ছাড়া মনে করা হচ্ছে এই ওষুধটি আক্রান্ত কোষকে মেরে ফেলে। তৈরি করে শক্তিশালী প্রতিবন্ধকতা।

Comments (0)
Add Comment